
ওঙ্কার ডেস্ক: ভারত অপারেশন সিঁদুর অভিযান করার পর কার্যত বেসামাল পরিস্থিতি পাকিস্তানের। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি জায়গার একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার নিয়েছে। এই আবহে পাক সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল ভুয়ো ভিডিও ছড়ানোর। ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো ধরে ধরে সাতটি ভিডিও ও সমাজ মাধ্যম পোস্ট যাচাই করেছে এবং জানিয়েছে যে সেগুলি ভুয়ো।
সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করার জন্য জলন্ধরে ড্রোন হামলা হয়েছে এমন দাবি করে একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছিল। পিআইবি ভিডিওটি তদন্ত করে দেখেছে যে এটি একটি ফার্মে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও। যার সঙ্গে চলমান ভারত-পাক সংঘাতের কোনও সম্পর্ক নেই। আরেকটি ভিডিওতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী একটি ভারতীয় পোস্ট ধ্বংস করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। আদতে সেটি ভুয়ো। পিআইবি ভিডিওটি যাচাই করে জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে “২০ রাজ ব্যাটালিয়ন” নামে কোনও ইউনিট নেই। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ভিডিওটি ছাড়া হয়েছে।
পাশাপাশি সমাজ মাধ্যমে একটি পুরানো ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে পাকিস্তান ভারতের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ভিডিওটির তথ্য যাচাই করে পিআইবি জানিয়েছে, ভিডিওটি আসলে ২০২০ সালে লেবাননের বৈরুতে সংঘটিত বিস্ফোরক হামলার।

জম্মুকাশ্মীরের রাজৌরিতে একটি সেনা ব্রিগেডের উপর ফিদায়েনের হামলা হয়েছে বলে ব্যাপকভাব প্রচার করা হচ্ছিল। তথ্য যাচাইয়ের পর প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো নিশ্চিত করেছে যে কোনও সেনা ক্যান্টনমেন্টে এই ধরণের কোনও ফিদায়েইন বা আত্মঘাতী হামলা ঘটেনি।
একটি চিঠি ছড়িয়ে দাবি করা হয়েছে চিফ অফ দ্য আর্মি স্টাফ জেনারেল ভি.কে. নারায়ণ নর্দার্ন কমান্ডের সেনা কর্মকর্তার কাছে সামরিক প্রস্তুতি সম্পর্কে একটি গোপন চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তথ্য যাচাই করে পিআইবি জানিয়েছে জেনারেল ভি.কে. নারায়ণ চিফ অফ দ্য আর্মি স্টাফ নন এবং চিঠিটি সম্পূর্ণ ভুয়ো।
আরেকটি সমাজ মাধ্যম পোস্টে দাবি করা হয়, ভারতীয় সেনাবাহিনী আম্বালা বিমানঘাঁটি ব্যবহার করে অমৃতসরে এবং ভারতের নাগরিকদের উপর আক্রমণ করেছে। পিআইবি যাচাই করে জানিয়েছে, দাবিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সমাজ মাধ্যমে আরেকটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে ভারত জুড়ে বিমানবন্দরগুলিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ। এটিও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে পিআইবি।