
নিজেস্ব প্রতিনিধি, ওঙ্কারঃ আমাদের দৈনিক কর্মব্যাস্ত জীবনে প্রায়দিনই হাঁপিয়ে পড়লেও আমরা শরীরের দিকে খুব একটা গুরুত্ব দেইনা। পুরুষ হোক বা মহিলা, শরীরে আয়রনের অভাব একটা গুরুতর সমস্যা। রক্তে প্রয়োজনের তুলনায় আয়রনের মাত্রা কমে গেলে সৃষ্টি হতে পারে নানান রোগ-ব্যাধি। তবে, রোজকার একটি সুষম খাদ্যতালিকা এবং কিছু ভালো অভ্যাসে সহজেই দূর করা যায় আয়রনের ঘাটতি।
শরীরে আয়রনের ঘাটতির প্রাথমিক লক্ষণ গুলি কী কী?
শারীরিক ক্লান্তি, রক্তাল্পতা ছাড়াও শরীরে আয়রনের অভাব বেশ কয়েকটি লক্ষ্মণের মাধ্যমে সহজেই বোঝা যায়। ক্ষণিক অন্তর হাই ওঠা, চোখ, মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, ঠোঁট, জীভ ফুলে যাওয়া, হাঁপ ধরা; এই সমস্যা গুলি কমবেশি দেখা দিলে বুঝতে হবে, নেহাতই কাজের চাপে এই ক্লান্তি নয়। তখন অবশ্যই সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শ মতো করতে হবে হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা। তবেই ধরা পরবে রক্তাল্পতা, আয়রন ঘাটতির প্রমাণ।
কী ভাবে করবেন মোকাবিলা?
আয়রনের ঘাটতি রুখতে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন দৈনন্দিন সুষম খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টিবিদদের মতে, আয়রন মূলত দুই প্রকার। হিম আয়রন ও নন-হিম আয়রন। হিম আয়রনের ৪০ শতাংশ সরাসরি মানবদেহে শোষিত হয়, ফলে রক্তের পক্ষে এই আয়রনের গুরুত্ব অসীম। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন মূলত মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি প্রাণিজ প্রোটিন হিম আয়তনের প্রধান উৎস। অন্যদিকে, নন-হিম আয়রন পাওয়া যায় উদ্ভিজ্জ খাওয়ার থেকে, তবে এই জাতীয় আয়রন মানবদেহ শোষণ করতে পারেনা। অর্থাৎ, শুধু আয়রন সমৃদ্ধ খাওয়ার খেলেই হবেনা ; লক্ষ্য রাখতে হবে তা যেনো শরীর গ্রহণ করতে পারে। মনে রাখতে হবে শাক, ফুলকপি, বেদনা, বীজ, বাদাম , দানাশস্য, ড্রাইফ্রুট, ইত্যাদি খাবার শরীরকে আয়রন সমৃদ্ধ করতে বিশেষ সাহায্য করে।
বিশেষ নজর:
অনেক ক্ষেত্রে আয়রনের চাহিদা পূরণ করার জন্য চিকিৎসকেরা বিভিন্ন ধরনের আয়রন সাপ্লিমেন্ট, ট্যাবলেট দিয়ে থাকেন। এই সব সাপ্লিমেন্টের অধিক সেবন পেট খারাপ, মাংস পেশী তে ব্যথা, টান ধরা ইত্যাদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। তাই অবশ্যই আয়রন সাপ্লিমেন্টের নেওয়ার আগে চিকিৎসক কে নিজের শারীরিক সমস্যা, অ্যালার্জির কথা জানাতে ভুলবেন না।