
উজ্জ্বল হোড়, জলপাইগুড়ি : সামনেই দুর্গাপুজোর মরসুম। প্রতিবছরই দুর্গাপুজোর সময় সারা রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষেরা আসেন গরুমারা জাতীয় উদ্যানে হাতির পিঠে বা হুড খোলা জিপসি গাড়িতে চেপে গভীর জঙ্গলে বন্য প্রাণী দর্শন করতে। যদিও পূজোর অনেকদিন আগে থেকেই চলে বুকিং পর্ব। এবারেও তার অন্যথা হয় নি। বর্ষায় তিন মাসের জন্য জঙ্গল বন্ধ থাকার পর আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ফের গরুমারা জঙ্গল পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। সাফারি পার্ক খোলার আগেই শুরু হয়ে গিয়ে বুকিং। ইতিমধ্যেই গরুমারা, সহ অন্যান্য জঙ্গলের সরকারী লজ গুলোর প্রায় সবই বুক হয়ে গিয়েছে। ডুয়ার্সে জঙ্গলে এলেই পর্যটকদের আকর্ষণ থাকে হাতি এবং জিপসি চড়ে জঙ্গল সাফারি। জানা গিয়েছে, গরুমারায় জঙ্গল সাফারির জন্য লাটাগুড়ি এলাকায় অবস্থিত বেসরকারী রিসোর্ট গুলোতেও চলছে আগাম বুকিং।
হাতি সাফারির জন্য গরুমারায় আরও দুটি কুনকি হাতি নিয়ে এসেছে বন দপ্তর। সম্প্রতি জলদাপাড়া থেকে দুটি স্ত্রী কুনকি হাতিকে গরুমারায় নিয়ে আসা হয়। এর ফলে হাতির পিঠে চেপে জঙ্গল সাফারির জন্য হাতির সংখ্যা বাড়ল গরুমারা জাতীয় উদ্যানে।
বন দপ্তর সূত্রে খবর, এখন গরুমারার পিলখানায় শাবক, মাঝ বয়সী, প্রাপ্ত বয়স্ক সব মিলিয়ে ২৬টি কুনকি রয়েছে। নতুন দুটি কুনকি হাতি আসায় পর্যটকদের জঙ্গল সাফারির আসন সংখ্যা বেড়ে ২৮ টি হলো এবার। নতুন দুই কুনকি হাতিকে জঙ্গল পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলেই কাজে লাগানো শুরু হবে।
গরুমারা বন্যপ্রাণ ডিভিশনের এডিএফও জন্মেজয় পাল বলেন, ‘আরও দুটি কুনকি নিয়ে আসার ফলে সাফারির সুবিধা হবে।
হাতে সময় কম। আর কয়েকদিনের মধ্যেই জঙ্গল সাফারি। খুলছে জঙ্গল পর্যটকদের নিয়ে জঙ্গলে ছুটে বেড়ানো গাড়ী গুলোর পরিচর্চায় বাস্থ লাটাগুড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন গ্যারাজ গুলো।
এমনই এক মোটর মেকানিক উত্তম রায়ের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। সকাল থেকেই জঙ্গল সাফারির জন্য গাড়ি গুলোর দোষ ত্রুটি খুঁজে দ্রুত মেরামত করে চলেছেন তিনি।