
উজ্জ্বল হোড়, ওঙ্কার বাংলা: ‘গ্রেটার কোচবিহারের জন্য জীবন দিয়ে দেব এবং কলকাতা কেন্দ্রীক সরকারকে উৎখাত করব’। পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগমুহূর্তে কেএলও জঙ্গি সংগঠননের চিফ জীবন সিংহের ভাইরাল ভিডিও কে ঘিরে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ওঙ্কার বাংলা।
রাজ্যে দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। তাঁর আগে ফের কেএলও জঙ্গি চিফ জীবন সিংহের ভিডিও বার্তা। ভিডিও বার্তায় জঙ্গী সংগঠনের প্রধানকে বলতে শোনা গিয়েছে, “ওরা আমাদের জাতি মাটির শত্রু। ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় ছলে বলে কৌশলে কোচবিহারকে কলকাতার সঙ্গে যুক্ত করেছেন। কংগ্রেসের কারনে আমাদের এখানাকার মাটি অসম, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে বিভক্ত হয়েছে। পরে বাম আমলে আমাদের লোকদের মারধর করা হয়েছে। আমাদের জায়গা জমি কেড়ে নিয়েছে। আর তৃণমূল আমাদের সর্বনাশ করছে”।
কেএলও চিফ ভিডিও আরও বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচ, রাজবংশীদের শত্রু। কোচ কামতাপুরী ভাষায় জীবনের বার্তা, ‘ মমতা দিদি আমাদের আলাদা রাজ্যের বিপক্ষে। টিএমসি আমাদের মানুষজনের ওপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আমাদের মানুষদের হত্যা করছে। এই সরকারের আমলে আমাদের মানুষদের মিথ্যে মামলা দিয়ে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। মমতা দিদি আমার জাতি, মাটির শত্রু।
জীবন সিংহ ভিডিও বার্তায় বলেছেন, মমতা সরকার কোচ – রাজবংশী উন্নয়নের বিরোধী। মমতা দিদি বোঝেন না কোচ রাজবংশী জনগনের দুঃখ দুর্দশার কথা। মমতা দিনি চান না আমরা ভালো ভাবে স্বাধীন হয়ে বাঁচি। ভিডিও তে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কামতাপুরি জনগন যাতে শাসক দলের ছলনায় না ভুলে যায় তারও আবেদন রাখছেন জীবন সিংহ।
প্রসঙ্গত, নয়ের দশকে উত্তরবঙ্গ এবং নিম্ন অসমে আলোড়ন সৃষ্টি করে তোলা কামোতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন ওরফে কেএলও। ভারতীয় সেনার অপরেশন ফ্লাস অউট এর পর কেএলওদের দমন করলেও, সংগঠনের প্রধান জীবন সিংহ পালিয়ে যায়। প্রায় ২০ বছর গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন জীবন। কয়েক মাস আগেই মায়ানমারের গোপন আস্তানা থেকে ভারত সরকারে ডাকে সাড়া দিয়ে শান্তি বৈঠকে যোগ দিতে আত্মপ্রকাশ করেন। সূত্রের খবর বর্তমানে আসামের কোনো অজ্ঞাত সেভ হাউসে রয়েছেন কেএলও চিপ। সেখান থেকেই এই ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বলে অনুমান।