
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা : মুর্শিদাবাদ সন্ত্রাসে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে, একথা জানিয়ে তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ জোর করে ওইসব আশঙ্কিত পরিবারগুলিকে কলকাতা থেকে উৎখাত করতে চাইছে। বাধা দিতে গেলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের বচসাও হয়। কী কারণে পুলিশ এমন কাজ করছে, কার নির্দেশে করছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সজল।
ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় অশান্ত মুর্শিদাবাদে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। সেইসময় প্রাণ ভয়ে বহু মানুষ অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। নিরাপত্তার কারণে নিহতদের পরিবারের জন্য সল্টলেকে থাকার ব্যবস্থা করেছিল বিজেপি। এতদিন ওখানেই থাকছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, হঠাৎ করে পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে ফের মুর্শিদাবাদে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। এতে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আক্রান্ত পরিবারগুলি যাতে পুলিশি বিতাড়নের শিকার না হয় সে কারণে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।
পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, নিহতদের পরিবার আইনি জটিলতায় পড়েছেন। যারা কলকাতায় রয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে জেলা থেকে নিখোঁজ হওয়ার মামলা রুজু করা হয়েছে। তাই তাদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতেই কলকাতায় এসেছে মুর্শিদাবাদের পুলিশ এসেছে। এর সঙ্গে নিরাপত্তাহীনতার কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও বিজেপি নেতা সজল ঘোষ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নন। তাই তিনি এ বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
এর মধ্যেই সোমবার থেকে দু’ দিনের মুর্শিদাবাদ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পৌঁছেই তাঁর সুতি, সামশেরগঞ্জ-সহ একাধিক এলাকা ঘুরে দেখার পরিকল্পনা। সূত্রের খবর, হিংসা কবলিত এলাকায় গিয়ে কথা বলবেন স্থানীয়দের সঙ্গে। সেই সঙ্গে তুলে দেবেন আর্থিক ক্ষতিপূরণ। একই সঙ্গে রয়েছে জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক। জানা গেছে, যাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান এই সফরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের হাতে সেইসব সুবিধা তুলে দেবেন প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি দিনভর একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ারও কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।