
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মেয়াদ শেষে জেলবন্দী এক পাকিস্তানি নাগরিককে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুধু তাই নয়, তিনি নিজের বর্তমান স্থায়ী ঠিকানা হুগলির চন্ডীতলার বাড়িতে থাকতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোয়ারা বেগম নামে ওই পাকিস্তানি নাগরিক ২০০১ সালে এই দেশে আসেন। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও দেশে না ফেরায় পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে। গত ২০২২ সালের অক্টোবর নগদ সাজা শেষ হলেও তিনি জেলে থেকে গিয়েছেন। বর্তমানে তিনি তিহার জেলে রয়েছেন। বন্দী দশা থেকে মুক্তি পেতে তাই বাধ্য হয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মনোয়ারা। আদালতে তাঁর দাবি, চণ্ডীতলার বাড়িতে তাঁর পরিবার রয়েছে। তিনি মেয়াদ শেষে অযথা জেলে না থেকে পরিবারের সঙ্গে থাকতে চান। যদিও আদালতে রাজ্য ও কেন্দ্রের দাবি, নিয়ম মত মেয়াদ শেষে তাকে পাকিস্থানে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু পাকিস্থান তাঁকে নিজের দেশের নাগরিক হিসাবে ফেরত নিতে অস্বীকার করায় দেরি হচ্ছে। তবে জেলবন্দী হিসাবে নয়, বিদেশি নাগরিক হিসাবেই জেলে পৃথকভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু আদালতের মতে একজন ব্যক্তির স্বাধীনতা বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও কাজ করা করা সঠিক নয়। তাই সাজা শেষ হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানি নাগরিক হলেও তিনি নিজের ঠিকানায় থাকতে পারবেন। তবে এদেশে থাকার শর্ত সাপেক্ষে আদালতের নির্দেশ, তিনি জেলা ছেড়ে বাইরে যেতে পারবেন না এবং সপ্তাহে স্থানীয় থানায় গিয়ে তাঁকে হাজিরা দিয়ে আসতে হবে।