
নিজস্ব সংবাদদাতা : দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পরেই বড়বাজারে ‘সারপ্রাইজ ভিজিটে’ যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে হোটেলের নানান বেনিয়ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে পার্ক স্ট্রিটটর ম্যাগমা হাউসের নাম উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে। তারপরই বৈঠকে বসেন কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও মেয়র। বৈঠকের পর জানান, কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং আইনের ৪০০(৮) ধারায় ম্যাগমা হাউসকে বেআইনি নির্মাণ বলে নোটিস ধরানো হয়েছে। এরপরই তড়িঘড়ি ভাঙার কাজ শুরু করে কলকাতা পুরসভা। পুরসভার এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন হোটেল মালিক। এই মাওমলায় সোমবার কোলকাতা হাইকোর্ট অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিল , পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত ওই রেস্তরাঁ ভাঙা যাবে না।
এই প্রসঙ্গে ম্যাগমা হাউসের কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টকে জানায়, বৈধ ট্রেড লাইসেন্স ও ফায়ার লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশ ও পুরসভার পক্ষ থেকে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেস্তরাঁর জিনিসপত্র সরাতে ১৫ দিন সময় চেয়েছেন ম্যাগমা হাউসের কর্তৃপক্ষ। তারপরই সোমবার হাইকোর্ট সেই সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত ওই রেস্তরাঁ ভাঙা যাবে না। যদিও সরকারের দাবি গত বছর থেকেই নোটিশ পাঠানো হয়েছিল ওই রেস্তরাঁয়।