
নিজস্ব প্রতিনিধি: ইডির আধিকারিকদের বিরুদ্ধে করা এফআইআরের ওপর স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট। ৩১ মার্চ অবধি ইডির বিরুদ্ধে করা অভিযোগ নিয়ে কোনও তদন্ত করতে পারবে না পুলিস। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এই নির্দেশ দেন। পাশাপাশি রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
রেশন দুনীতি কান্ডে তৃনমুল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। সেখানে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তারা। মারাধোরও করা হয়। এই ঘটনায় ইডির বিরুদ্ধেই এফআইআর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দারস্থ হয় ইডি। সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। পাশাপাশি রাজ্যের কাছে কেস ডায়রি তলব করা হয়েছে। এফআইআর নিয়ে রাজ্যকে হলফনামাও দিতে বলা হয়েছে। এদিন বিচারপতি জানতে চান, ইডি আধিকারিকরা কী শাহজাহানের বাড়িতে প্রবেশ করে ছিলেন। ইডি জানায় অনেক চেষ্টা করেও ঢুকতে পারেনি। অনেকবার ফোন করা হলেও তিনি অন্য ফোনে ব্যস্ত ছিলেন। এফআইআর প্রসঙ্গে রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত ও আইনজীবী দেবাশিস রায় জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায় মোতাবেক পুলিস এফআইআর গ্রহন করেন। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এফআইআর গ্রহন করার আগে পুলিস কী ন্যুনতম অনুসন্ধান করেছিল? বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, ধরুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপর আক্রমণ হয়েছে, ন্যুনতম অনুসন্ধান না করেই কি সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর লিখতে বসে যাবেন? রাজ্যের তরফে বলা হয়,ইডি কিছু না জানিয়ে এসেছিল। পালটা বিচারপতি বলেন,কেন্দ্রীয় তদন্ত কারির তদন্ত করার ক্ষেত্রে আইনগত তো কোনও বাধা নেই। মামলার পরবর্তী শুনানি ২২জানুয়ারি।