
ওঙ্কার বাংলা অনলাইন ডেস্কঃ আদালতে হাজিরা দিয়ে ক্ষমা চাইলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি আদালতে হাজির না হলে বেতন বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরই সোমবার এজলাসে হাজিরা দেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। আদালতে উপস্থিত হয়ে ক্ষমাও চান পর্ষদ সভাপতি। বলেন, “আমার বেতন বন্ধ করবেন না। আমার পরিবারে একমাত্র রোজগেরে আমি। বাড়িতে আমার বয়স্ক মা-এর চিকিৎসা চলছে।” তাঁর দাবি, আগেও অনেক নির্দেশ মেনেছেন তিনি, আগামী নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও সুযোগ দেবেন ওই প্রার্থীকে। এই নির্দেশ পালনের জন্য এক সপ্তাহ সময় চেয়ে নেন গৌতম পাল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত তিন সপ্তাহের বেশি সময় কেটে গেলেও আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি। সেই মামলায় এদিন হাই কোর্টে হাজিরা দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। এদিন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের কাছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছেন ? তা না হলে নির্দেশ মানলেন না কেন ? এরআগে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন গৌতম বাবুর আইনজীবী। তবে তাঁর আইনজীবী ডিভিশন বেঞ্চে মামলার নম্বর জমা দিতে পারেন নি। এদিনও ডিভিশন বেঞ্চে মামলার সঠিক তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। আদালতের কাছে সময় চান তিনি। আদালত পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের আবেদন গ্রহণ করে নির্দেশ দেয় আগামী ১সপ্তাহের মধ্যে নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। প্রসঙ্গত এক চাকরিপ্রার্থী আদালতে মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় পর্ষদ সভাপতিকে মামলাকারীকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই রায় না মানাতেই আদালতের কোপের মুখে পড়তে হয় পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালকে। আদালত পর্ষদ সভাপতিকে দু সপ্তাহের সমাসীমা বেধে দিয়েছে। তার মধ্যেই ওই চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ নিয়ে শূন্য পদ হলে ভবিষ্যতে তার চাকরি নিশ্চিত করবে পর্ষদ।
অন্য একটি মামলা প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন ‘‘কিছু রাজনৈতিক নেতা আদালতের নামে উল্টোপাল্টা বলেন। তাঁদের শ্রদ্ধা করি না।’’ এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন বিচারপতি। আদালতে উপস্থিত বার অ্যাসোশিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মল্লিকের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘ওকে দেখেছি বিচারপতিদের সম্মান করেন। খুবই সহজ সরল মানুষ। দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ। অনেক নেতা-মন্ত্রীও আদালত সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন না।’’