
ওঙ্কার অনলাইন ডেস্কঃ এক লাখ টাকা নিলেও কম করে চার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ‘পোস্টিং’ দুর্নীতি কাণ্ডে পর্যবেক্ষণ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার ‘পোস্টিং’ দুর্নীতির তদন্তেও সিবিআইকে যুক্ত করল উচ্চ আদালত। এদিন সিবিআই-এর তরফে তিন আধিকারিক হাই কোর্টে হাজির ছিলেন। তাঁদের মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি জেল বন্দি মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার সকাল নটা থেকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে মানিক ভট্টাচার্যকে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভিডিও রেকর্ড করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে সিবিআইকে সাহায্য করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। কোন অসহযোগিতার খবর পেলে সুপারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিন সিবিআই-এর আইনজীবীকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন এক লাখ টাকা ধরলেও চার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এখন থেকেই তদন্ত শুরু করুন। সিবিআই যদি ব্যর্থ হয় আমার অন্য টেকনিক জানা আছে। প্রয়োজনে সিবিআই ডিরেক্টরকে ডাকব, প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে জানাব। ভিডিওগ্রাফ করুন, দেখতে চাই মানিক ভট্টাচার্য কি উত্তর দেন। ভিডিওগ্রাফি না হলে মোবাইলে করুন। মধ্যরাতে হলেও আজ করুন। প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুন। পাশাপাশি এদিন ইডিকেও তথ্য জোগাড় করতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। প্রসঙ্গত ২০২০ সালে ‘পোস্টিং’ কাণ্ডে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূম জেলা থেকে। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন প্রয়োজনে মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। যে মানুষ সবার থেকে সুবিধা নিয়েছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।