
ওঙ্কার বাংলা অনলাইন ডেস্কঃ সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে ভূত। স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর চাকরি পেতে দিতে হবে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা। বাইরের কোনো দালাল নয়, অভিযুক্ত স্বপন জানা কলকাতা হাই কোর্টেরই অরিজিনাল সাইটের কারেন্ট রেকর্ড ডিপার্টমেন্টের কর্মী। তাকেই টাকা দিলে হবে চাকরি। তার আগে মামলা ফাইল করে দ্রুত শুনানির ব্যাবস্থা করতে দু দফায় নেওয়া হয় ৪৫ হাজার টাকা। এদিন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানান ২০০৯ সালের দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থী হরেকৃষ্ণ রণজিৎ। অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবারই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে FIR করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিনই ডেপুটি শেরিফের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। প্রয়োজনে পুলিশ তদন্ত করে গ্রেপ্তার করবে অভিযুক্ত ওই হাইকোর্ট কর্মীকে। অভিযুক্ত ওই হাইকোর্ট কর্মীকে রেজিস্ট্রার ভিজিলেন্সের কাছে হাজির করতে হবে।
উল্লেখ্য হাই কোর্টের ওই অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে মঙ্গলবারই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানান বেহালার দৃষ্টিহীন বাসিন্দা হরেকৃষ্ণ রণজিৎ। দু দফায় তাঁর থেকে ৪৫ হাজার টাকা ঘুষ নেবারও অভিযোগ করেন হরেকৃষ্ণবাবু। অভিযোগ শুনেই ডাকিয়ে আনা হয় ওই কর্মীকে। তিনি টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও অনলাইনে টাকা দেওয়া হয়েছে বলে নথি দেখান অভিযোগকারী। তারপরই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশকে FIR দায়ের করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিনই ডেপুটি শেরিফের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে।