
ওঙ্কার বাংলা অনলাইন ডেস্কঃ পাঁশকুড়া খুনে অভিযুক্ত আনিসুর রহমানের প্যারোলের নির্দেশে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হস্তক্ষেপ হাইকোর্টের। ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলার শুনানি পর্যন্ত আনিসুর রহমান বাড়ির মধ্যে থাকবেন। ৪ থেকে ৯ জুলাই তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। যদি এই সময়ের মধ্যে তিনি বাড়ি থেকে কোথাও বের হন তার ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। মৃতের দাদা সহ পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিতেও নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর।
রাজ্যকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে কোন পরিপ্রেক্ষিতে প্যারোলের আবেদনে অনুমতি দেওয়া হলো। যেখানে আজ বুধবারেই নিম্ন আদালতে ওই মামলার শুনানি ছিল।
প্রসঙ্গত ৩৬ টা মামলার সঙ্গে কুরবান শাহ খুনে অভিযুক্ত আনিসুর রহমান। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে রাজ্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে তার বিরুদ্ধে সব মামলা তুলে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। হাইকোর্ট পাঁচ বার তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালে কুরবান খুন হন। প্রথমে আফজাল শা মামলা করলেও পরে তাঁকে ভয় দেখানোয় তিনি মামলা প্রত্যাহার করেন। পরে মৃতের দাদা জহর শা মামলা করেন। এর আগেও বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ তার জামিন খারিজ করে রাজ্যের বিরুদ্ধে অনিসুরকে মদত দেওয়ার অভিযোগ আনে। সুপ্রিম কোর্ট সিটি সেশন কোর্টের প্রধান বিচারককেই এই ট্রায়াল মামলার বিচারের নির্দেশ দেয়। অথচ ৩ জুলাই তার আবেদনের পরেই ডিজির অনুমতি আসায় তাকে প্যারোলে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই অনুমতি দেন আইজি কারা। এদিন বিচারপতি বলেন আইজি কারা একজন আইপি এস অফিসার। আই.জি কারার বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হবে না? কারা দপ্তরের থেকে তালিকা চাওয়া হোক, একদিনে এমন ইস্যুতে কতজনের প্যারোলের বিবেচনা হয়েছে। একইদিনে আবেদন, আবার সেদিনই আবেদন গৃহীত ! এটা একটু বেশিই তাড়াতাড়ি হয়ে গেল না বলে মন্তব্যও করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। প্যারোল পাওয়া উচিত বা অনুচিত কিনা তার থেকে বড় কথা এরআগে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়ের স্পিরিট মাথায় রাখা। কোর্ট সেটাই গুরুত্ব দিচ্ছে।