
ওঙ্কার বাংলা অনলাইন ডেস্কঃ সিবিআই এবং ইডিকে অবিলম্বে ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়াদের তালিকা দিতে নির্দেশ দিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। শুক্রবার দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি এবং সিবিআইকে ২৯ অগাস্টের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সিনহা। এদিন কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলাটি ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। প্রসঙ্গত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম তাঁর মুখ দিয়ে বলাতে চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, এই অভিযোগ তুলে জেলে বসেই চিঠি লিখেছিলেন ধৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। এদিন কুন্তলের সেই চিঠি ভিত্তিহীন বলে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্রাচার্য। এদিন আদালতে একটি রিপোর্ট জমা দেন তিনি। সিবিআই রিপোর্টে উল্লেখ করেছে অয়ন শীল এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি চিহ্নিত করে এটাচ করা হয়েছে। ৩৫০ কোটি টাকা বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। বিদেশে পাচার হয়েছে, টলিউডে লাগানো হয়েছে। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ইডি হেফাজতে নিয়ে জেরাও করেছে। প্রায় ১০০ টি ব্যাঙ্ক একাউন্ট গোয়েন্দা সংস্থার স্ক্যানারে রয়েছে। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের যোগ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তও আদালতে একটি হলফনামা জমা দেন।
রাজ্যের কৌঁসুলি শীর্ষাণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন রাজ্যের ১২৩ টি পুরসভার তথ্য চাওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন ? সেখানে একাধিক বিষয় অস্পষ্ট। পুরসভার ফোন নম্বর চাওয়া হয়েছে কিন্তু ঠিক কার ফোন নম্বর তা স্পষ্ট নয়।
সব পক্ষের আইনজীবীদের সওয়ালজবাব শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা সিবিআই-এর আইনজীবীর কাছে জানতে চান ‘এখনো কেন কিং পিন পর্যন্ত পৌঁছানো যাচ্ছে না ?’
সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান ২০১৬ সালে শিক্ষক পদে ৪২ হাজারের বেশি নিয়োগ করা হয়েছে। সেই ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। যে শিক্ষকরা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে তাদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা চলছে।
এরপরই বিচারপতি সিনহা বলেন সিবিআই আজ যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে তেমন কিছুই নেই। যাতে যোগ্যরা সুযোগ পায় তা খুঁজে বের করুক সিবিআই। এরপরই ২৯ অগাস্ট ফের সিবিআইকে তালিকা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।