
নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা : শনিবার ছিল স্কুলের চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের এক হাজার তম দিন। সকাল থেকে বিরোধী নেতাদের আনাগোনা ছিল সেখানে। সরকারবিরোধী স্লোগানে সরগরম ছিল আন্দোলনের চত্বর। চাকরির দাবিতে মহিলা চাকরি প্রার্থীর মস্তক মন্ডলের ঘটনা ঘটেছে। স্বাভাবিক ছিল। প্রত্যাশিত ছিল।
কিন্তু অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে ফায়ার ফাইটিং এর জন্য আচমকা সেখানে হাজির হয়ে যান এই মুহূর্তে অভিষেক শিবিরের তদন্তুর কি সেনাপতি কুনাল ঘোষ ( Kunal Ghosh)। কুনাল ঘোষ কোন মন্ত্রী নন। সংসদ নন। বিধায়ক নন। তবু তিনি সরাসরি ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলেন।
এটা কাহানিতে একটা টুইস্ট কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু আরো টুইস্ট বাকি ছিল। গোটা চত্বর জুড়ে তখন চোর চোর স্লোগান। কংগ্রেসের (congress) কৌস্তুভ বাগচীর নেতৃত্বে তখন স্লোগান উঠছে ‘চোর চোর।’
তার মধ্যে কুনাল বলতে শুরু করলেন। কি বললেন? বললেন ভুল কেউ একজন করেছে। এই সরকার যদি ভুল করে থাকে এই সরকার তার প্রায়শ্চিত্ত করবে।’ প্রায়শ্চিত্ত করবার প্রশ্ন তখনই ওঠে যখন কোন পাপ করা হয়ে থাকে। কুনাল হয়তো নরম করে ভুল বলেছেন। ভুলটা অজ্ঞানকৃত। কিন্তু পাপটা সজ্ঞানে করা হয়।
এখন কথা হল কুনাল মেনে নিলেন যে ভুল বা পাপ কিছু একটা করা হয়েছে। এবার কুনালের উদ্দিষ্ট এই কেউ একজনটা কে?
রাজনৈতিক মহলের অনুমান তীরের অভিমুখ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ( Partha Chattopadhyay ) দিকে। কুনাল এর আগেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন।
তার জন্য শাসক দল তাকে কিছুদিন সেন্সর করেছিল মুখপাত্রের পদ থেকে। কিন্তু এবার কুনাল যেভাবে প্রায়শ্চিত্তের কথা বললেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের ডেট ঠিক করলেন তাতে মনে হচ্ছে উচ্চতম কোন মহলের ইঙ্গিত পেয়েই কুনাল দৌড়ঝাঁপ করছেন।
এটা কি তাহলে দলে রবীন্দ্র বিরুদ্ধে নবীনদের যে অভিযান চলছে তার একটা নতুন ফ্রন্ট? কারণ অভিষেকের শিবির নির্দিষ্ট কয়েকজন প্রবীণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন সেটা এখন পরিষ্কার। মমতাকে ঘিরে প্রবীণদের যে শিবির এখনো ক্ষমতায় রয়ে গিয়েছেন, সকলেই আহ্লাদিত ছিলেন নেতাজি ইন্ডোরের সাম্প্রতিক কর্মসূচিতে অভিষেকের ছবি না থাকায়।
কিন্তু এখানে একটা সমস্যা থেকে গেল। মমতা ব্যানার্জি নেতাজি ইন্ডোর সময় বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় চোর তিনি বিশ্বাস করেন না। তাহলে প্রায়শ্চিত্ত পর্বে পাপের দায়ভাগ টা কার? রত্নাকর কি এবারও একা পড়ে যাবে?