
সম্পূর্না সেনগুপ্ত, ওঙ্কারঃ শীতের কম্বল যেন হিমেল আবেশে আমাদের ঢেকেছে। ঠিক এমন সময়ই আমাদের শরীরের প্রয়োজন ঋতুকালীন এই শীতের সাথে লড়াই করার রসদ। আর তা যদি হয় স্বাদ এবং পুষ্টির এক অনবদ্য মেলবন্ধন তাহলে তো শীতপ্রেমী বাঙালীর মুখে হাসি ফুটবেই।
এই শীতে নিজেকে সতেজ সুন্দর এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে তুলতে অবশ্যই খাওয়া-দাওয়ার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ, গৃহবধূ থেকে কর্মরতা, শীতে পুষ্টির চাহিদা সকলেরই।
অতোয়েব এই শীতে উজ্জ্বল ত্বক, চুল, শক্তিশালী পেশি এবং মজবুত হাড়ের জন্য আসুন দেখে নেওয়া যাক কী কী রাখতেই হবে আপনার পাতে।
১.শীতকালীন সবুজ শাক:
শীতের টাটকা মেথি, নোটে, পালং, সর্ষে ইত্যাদি শাক যেমন পুষ্টি উপাদানে ভরপুর তেমনই সহজলভ্য। ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, আয়রনএবং ফাইবারে ঠাসা এই সবুজ শাক শীতের দিনে মেটাবলিক সিনড্রোম কমাতে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। এছাড়াও, এই শাকগুলি আমাদের দেহে রক্তপ্রবাহ সঠিক রাখতেও বিশেষ উপকারী ।
২.মটরশুঁটি:
শীতের দিনে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী মটরশুঁটি। মটরশুঁটি একটি স্বাস্থ্যকর উদ্ভিজ প্রোটিন হওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন এ, বি, সি, এবং ই তে সমৃদ্ধ হওয়ায় ঠাণ্ডার দিনে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়তা করে।
৩.বিট এবং গাজর:
এই শীতের দিনে শরীরচর্চা করতে পারছেন না ? অথচ ভাবছেন কী ভাবে মেদহীন তন্বী চেহারা ধরে রাখবেন? তবে, অবশ্যই নিজের খাদ্যতালিকায় যোগ করুন বিট এবং গাজর। বিটের বিটালিন, গাজরের ক্যারোটিন, শক্তিশালী অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি কম্পাউন্ড যা হার্টের জন্য খুব ভাল। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে এবং চোখ ভালো রাখতে এগুলি অপরিহার্য।
৪.টাটকা ফল:
কমলালেবু, আপেল, পেয়ারা, ইত্যাদি শীতের মরশুমি ফলগুলি ভাইরাল ফিভার, সর্দি, কাশি, প্রতিরোধে বিশেষ সাহায্য করে। পাশাপাশি ভিটামিন এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ এই ফলগুলি কোলেস্টেরল কমাতে, ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করতে অব্যর্থ।
৫.সজনে ডাঁটা:
শীতের শেষের দিকে বাজারে আসে সজনে ডাঁটা। শীতের অন্যতম সহজলভ্য এই সজনে ফাঙ্গাস বিরোধী, ভাইরাস বিরোধী এবং অ্যান্টি-ডিপ্রেশন ফুড হিসাবে কাজ করে। অতএব অসাধারণ পুষ্টিগুণের জন্য খাদ্য তালিকায় রাখতেই হবে সজনে ডাঁটা কে।