
শুভাশিস চট্টোপাধ্যায়ঃ রবিবার ‘পাওয়ারফুল’ বিদ্রোহে কেঁপে উঠছিল শরদ পাওয়ারের দুর্গ। ‘কাকা’ শরদের এনসিপি ছেড়ে দলবল নিয়ে বিজেপির মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন ‘ভাইপো’ অজিত পাওয়ার। সঙ্গে নিয়ে যান ৩৭ জন বিধায়ক ও অনুগামীদের। অজিতের সঙ্গে মন্ত্রী হিসেবে রবিবার শপথ নেন ছগন ভূজবল, দিলীপ প্যাটেল, অনিল প্যাটেল, ধনঞ্জয় মুন্ডে, অদিতি ঠাকরে, হাসান মুশরিফ সহ ৮ অনুরাগীও। এরই জেরে সোমবার প্রফুল্ল প্যাটেলকে কার্যনির্বাহী সভাপতির পদ থেকে বরখাস্ত করলেন কাকা শরদ পাওয়ার। দল বিরোধী কাজের জন্য এনসিপি থেকে বহিস্কার করা হয় দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল তাটকরকেও। উল্লেখ্য এরা দুজনই ভাইপো অজিত পাওয়ারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত গতকালই একই অভিযোগে এনসিপির তিন নেতা নরেন্দ্র রাঠোর, বিজয় দেশমুখ এবং শিবাজিরাও গারজেকে বরখাস্ত করা হয়।
কার্যনির্বাহী সভাপতির পদ থেকে সদ্য বহিস্কৃত প্রফুল্ল প্যাটেল অবশ্য এখনো শরদ পাওয়ারকে গুরু বলে সম্বোধন করে তাঁর আশির্বাদ চেয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ৫ জুলাই বুধবার মুম্বইতে দলের সভা ডেকেছেন শরদ পাওয়ার। সেখানে দলের ভবিষ্যত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ভাইপো অজিত এবং দলের বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে শরদ পাওয়ার শিবির সূত্রে খবর। মোটের উপর অজিতের বিদ্রোহ পাওয়ার পরিবারে ভাঙন ডেকে এনেছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তবে প্রকাশ্যে অন্তত কাকা-ভাইপো কেউই কারো ব্যাপারে কটু মন্তব্য করেন নি। কাকা শরদ পাওয়ার বলেছেন বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানো অজিতের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, এরজন্য পরিবারের মধ্যে কোনও আঁচ পড়বে না। অন্যদিকে ভাইপো অজিত পাওয়ারও বলেছেন এনসিপির জাতীয় সভাপতি শরদ পাওয়ারই থাকবেন। তবে দুপক্ষই দাবি করেছেন তাঁরাই আসল এনসিপি। তারাই দলীয় প্রতীকের দাবীদার। এরই মধ্যে পাওয়ার কন্যা সুলেও দাদা অজিতের বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন। পারিবারিক কলহ কতদিন চেপে রাখা যাবে সন্দিহান রাজনৈতিক মহল।