
সঞ্জয় মাঝিঃ ওঁরা ঘর পোড়া গরু, তাই কোথাও বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের কথা শুনলেই আশঙ্কায় কাঁপেন। মাস তিনেক আগে মহেশতলার চিংড়িপোতায় বাজির দোকানে আগুন লেগে তিনজনের মৃত্যু হয়। তারপর পুলিশের অতি তত্পরতায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কারবার। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ফের ব্যবসা শুরু করেছিলেন অনেকে, কিন্তু তারমধ্যেই ঘটে গেল দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ রোডে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা। মৃত্যু হয় প্রায় দশজনের। আর এতেই আশঙ্কায় দিন গুনছেন মহেশতলার বাজি ব্যবসায়ী ও কারিগরেরা। ফের বন্ধ হয়ে যাবে না তো তাদের কারবার।
ওঁরা জানেন সামান্য অসতর্কতা মানেই নিশ্চিত মৃত্যু। তবু সব জেনে শুনেও বাজি তৈরি করেন ওঁরা। আর না করে করবেনই বা কি ? পাপী পেট কা সওয়াল। তাই বিপদ জেনেও বাজি তৈরি করেন মহেশতলা, বজবজ, নুংগি এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। কারণ বাজি তৈরি না করলে খাবেন কি ? সামনেই দুর্গা পুজো এবং কালী পুজো, বছরের এই সময়টাই বাজি তৈরির পিক সিজন, কিন্তু দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ রোডে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর ফের বাজি তৈরির উপর নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে আসবে না তো তাঁদের উপর, এমনই আশঙ্কায় দিন গুনছেন বাজি শিল্পের সঙ্গে জড়িত কুতুবউদ্দিন মুক্তি, নাসিমা মল্লিকরা।
মাস তিনেক আগে মহেশতলার চিংড়িপোতায় বাজির দোকানে আগুন লেগে তিনজনের মৃত্যু হয়। তারপর পুলিশের অতি তত্পরতায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কারবার। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ফের ব্যবসা শুরু করেছিলেন অনেকে, কিন্তু তারমধ্যেই ঘটে গেল দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ রোডে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা। মৃত্যু হয় প্রায় দশজনের। আর তারপরই পুলিশ প্রশাসন এসে সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাজির দোকানও বন্ধ করে দেয়। এতেই আশঙ্কায় দিন গুনছেন মহেশতলার বাজি ব্যবসায়ী ও কারিগরেরা। ফের বন্ধ হয়ে যাবে না তো তাদের কারবার।
মহেশতলায় বাজি তৈরির হাব তৈরি করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জমি চিহ্নিত করার কাজও চলছিল। কিন্তু আপাতত সব দশ বাও জলে। এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখের দিকেই তাকিয়ে বাজি শিল্পের সঙ্গে জড়িত মহেশতলা, বজবজ, নুংগি এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।