
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজ্য জুড়ে দখল মুক্ত অভিযান চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৎপর রাজ্যের বিভিন্ন পুরপ্রশাসন। বুধবার সারা দিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলেছে অভিযান। বৃহস্পতিবার একই চিত্র কুমারগ্রাম থেকে কাকদ্বীপে। কোথাও কোথাও বুলডোজ়ার নিয়ে অবৈধ দোকানপাট এবং নির্মাণ ভেঙে দেওয়া কাজ চলছে। এ নিয়েই বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী। হকারদের সময় দিলেন এক মাস।
নবান্ন সভা ঘরে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ বলেন, হকারদেরই রাস্তা পরিস্কার করতে হবে। তবে কোনও এলাকায় নতুন করে হকার বসালে গ্রেফতার হবে। নেতা বা পুলিশ যে-ই হকার বসান, তাঁকেও গ্রেফতার করা হবে। তিনি আরও বলেন, “কারও চাকরি খাওয়ার অধিকার আমার নেই। কাউকে বেকার করার অধিকার নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষ হকারি করে খায়।”
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, রাস্তা দখলের জন্য দায়ী রাজনৈতিক নেতা এবং পুলিশরাই। কাউন্সিলরদের প্রথম থেকেই এটা দেখা উচিত। কিন্তু তাঁরা দেখেও দেখছেন না। এলাকার নেতারা প্রথমে ডালা নিয়ে বসিয়ে দিচ্ছে তার পরে আর সরানো যাচ্ছে না। নিজেরাই বসাবেন, তার পরে বুলডোজ়ার চালাবেন, তা হবে না।”
মমতা আরও বলেন “আমি বলব, আপনারা লোভ সংবরণ করুন। জীবনধারণের জন্য যেটুকু দরকার সেটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকুন। কিন্তু তা হচ্ছে না।এদিন পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “পুলিশের লোভ বেড়ে গিয়েছে আজকাল। গরিব হকারদের থেকে চাঁদা নিচ্ছে। মনে রাখবেন, আমার দল টাকা চায় না। তাই যে পুলিশকে ইন্ধন দিতে দেখা যাবে, তাকে সঙ্গে সঙ্গে সরানো হবে। কাউকে ছাড়ব না।”পাশাপাশি তিনি বলেন, এখনই হকারদের উচ্ছেদ করা হবে না। ১ মাস সময় দিলেন তিনি। এর মধ্যে রাজ্য সরকার সার্ভে করবে। তবে হকারদের কাছে মমতার আর্জি, রাস্তা পরিষ্কার রাখতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সরকারি জমিদখল, হকার সমস্যা, পুরসভার কাজ নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এর পরই রাজ্যজুড়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। কিন্তু সেই অভিযান নিয়ে একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার ফের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসলেন।