
ওঙ্কার ডেস্ক : ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর গত মাসে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে জঙ্গিদের জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সেই হুঁশিয়ারির পর ভারতের সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালিয়েছিল চলতি মে মাসের ৭ তারিখে। অপারেশন সিঁদুর অভিযানের পর প্রথম ‘মন কি বাতে’ এসে এই অভিযানের জন্য ভারতীয় সেনার প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্ত্রাসবাদের পাশাপাশি রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে এল দেশের মাওবাদ প্রসঙ্গও।
‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে রবিবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ সমগ্র দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ, আক্রোশে পূর্ণ, সঙ্কল্পবদ্ধ। আজ প্রত্যেক ভারতীয়র এটাই সঙ্কল্প, সন্ত্রাসবাদকে আমাদের শেষ করতেই হবে। বন্ধুরা, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন আমাদের সৈন্যবাহিনী যে পরাক্রম দেখিয়েছে, তাতে তাঁরা প্রত্যেক হিন্দুস্থানীর মাথা উঁচু করেছে। যে নিপুণতার সঙ্গে, যে নির্ভুলতার সঙ্গে আমাদের সৈন্যদল সীমান্ত পার করে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করেছে, সেটা অভূতপূর্ব। অপারেশন সিঁদুর দুনিয়া জুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে নতুন বিশ্বাস আর উৎসাহ যুগিয়েছে।’
‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে দেশে তৈরি অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে তা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমাদের জওয়ানরা সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি ধ্বংস করেছে, এটা তাঁদের অদম্য সাহসের পরিচয় আর এতে যুক্ত ছিল ভারতে নির্মিত অস্ত্র, উপকরণ আর প্রযুক্তির শক্তি। তাতে আত্মনির্ভর ভারতের সঙ্কল্পও মিশে ছিল। আমাদের ইঞ্জিনীয়ার, আমাদের প্রযুক্তিবিদ, সবার ঘাম-রক্ত মিশে ছিল এই বিজয়ে। এই অভিযানের পরে গোটা দেশে ‘ভোকাল ফর লোকাল’ ঘিরে এক নতুন উৎসাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে।’
দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাওবাদীদের প্রভাবের কথাও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায়। তিনি বলেন, ‘বাসে চড়ে কোথাও যাতায়াত করা নেহাতই সামান্য বিষয়, কিন্তু আমি আপনাদের এমন একটা গ্রামের কথা বলতে চাই যেখানে প্রথমবারের জন্য বাস পৌঁছেছে। এই দিনটার জন্য সেখানকার মানুষ অনেক বছর ধরে অপেক্ষা করছিলেন। আর যখন গ্রামে প্রথমবার বাস পৌঁছলো তখন তারা ঢাকঢোল বাজিয়ে তার অভ্যর্থনা করেছেন। বাস দেখে মানুষের আনন্দের সীমা ছিল না। গ্রামে পাকা রাস্তা ছিল, মানুষের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু এর আগে কখনো ওখানে বাস চলাচল করতে পারেনি। কেন? কারণ এই গ্রাম মাওবাদী হিংসার কবলে ছিল। এই জায়গাটি মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলি জেলায়, আর এই গ্রামের নাম কাটেঝড়ি।’