
স্পোর্টস ডেস্ক : মোহনবাগানে সৃঞ্জয় বসু আর দেবাশিস দত্তর মিলিজুলি কমিটি তৈরী হল। যে সৃঞ্জয় আর দেবাশিস নির্বাচনের নামে একপ্রকার গোটা বাংলায় একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রচারে নামেন। রাজনৈতিক চাপে তারাই হাত ধরল। বিকাল ৩. ৩০ মিনিটে সৃঞ্জয় বসু এসে মনোনয়ন দিলেন। কুনাল ঘোষ ছাড়াও দেবাশিস দত্ত হাজির ছিলেন আর ছিলেন সৃঞ্জয় বসুর ভাই সৌমিক বসু । উঠল সৃঞ্জয় বসুর মোহনবাগানে প্রত্যাবর্তনের স্লোগান। দেবাশিস বললেন, ‘নির্বাচন মোহন বাগান ঐতিহ্য বজায় রয়েছে। সৃঞ্জয় আমার ভালো বন্ধু। আমরা বহুদিন কাজ করেছি। যে কোনো কারণে দুটো দল তৈরি হয়েছিল। আমি কৃতজ্ঞ, ও নমনীয় হয়েছে
দুটো দল ভেঙে একটা কমিটি তোরি হচ্ছে। এতদিন ধরে মোহনবাগান সমর্থকদের যাবতীয় অভিযোগ শুনেছি। সেগুলো নিয়ে কাজ করবো। এই টিম এর নাম মোহনবাগান। একটা জিনিস ভালো হয়েছে আমরা দুই পক্ষই বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সমর্থক মেম্বারদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আবেগ বুঝতে পেরেছি তাঁদের কথা শুনতে পেরেছি।’
সৃঞ্জয় বসু বললেন, ‘মেম্বার দের কাছে সব জায়গায় গিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা জানতে পেরেছি। আজ আমরা সব জায়গা যেভাবে কভার করেছি, স্টা খুব ভালো হয়েছে।। মোহনবাগান ক্লু-এর স্বার্থে ভাল। ব্যক্তিগত প্রবলেম এর জন্য আলাদা হয়েছিলাম। এটা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ।কাতে সবাই মিলে মোহন বাগান আর সেরা একাদশ তৈরি করব।আমি মনে করি শ্রেষ্ঠ মোহন বাগান একাদশ।’ মোহনবাগানে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে কারণ দীর্ঘদিন মোহনবাগানের দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা সঞ্জয় ঘোষ সৃঞ্জয় বসু ঘনিষ্ট। আরজিকর ঘটনায় সক্রিয় রাস্তায় নেমে সিপিএমের হয়ে আন্দোলন করেন তিনি। আর তাকে কমিটিতে রাখা হচ্ছে না।
দেবাশিস বললেন, ‘জন্ম থেকেই কেউ না কেউ মোহনবাগান নাহলে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান মেম্বার যে কেউ হতে পারে। কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কথা জানি না। সবাইকে কমিটিতে জায়গা দেওয়া সম্ভব নয় সবাই মোহনবাগান।’ সৃঞ্জয় বসু আবার বললেন, ‘২০১৮ সাল অবধি আমাদের সঙ্গে সঞ্জয় ঘোষ কাজ করেছিল তখনও তো এই সরকারই ছিল এটা কোনো কথা নয়।’ প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় আর শিল্টন পাল ঢুকবেন মোহনবাগান কমিটিতে । সহ সভাপতি হবেন বেচারাম মান্না। এছাড়া টুটু বসুর জন্য তৈরী হবে চেয়ারম্যান পোস্ট।
এদিন যে যে পদে মনোনয়ন জমা পড়েছে তা হল: সচিব পদে সৃঞ্জয়, সহ-সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কোষাধ্যক্ষ সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্থ-সচিব সুরজিৎ বসু, মাঠ-সচিব শ্বাশ্বত বসু, ফুটবল-সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্রিকেট-সচিব সম্রাট ভৌমিক, হকি-সচিব শ্যামল মিত্র, টেনিস-সচিব সিদ্ধার্থ রায়, যুব ফুটবল-সচিব শিল্টন পাল। কর্মসমিতির পদে মনোনয়ন দিয়েছেন মুকুল সিনহা, সোহিনী মিত্র চৌবে, সোমেশ্বর বাগুই, কাশীনাথ দাস, দেবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সুদীপ্ত ঘোষ, দেবজ্যোতি বসু, রঞ্জন বসু, পার্থজিৎ দাস, সঞ্জয় মজুমদার এবং অনুপম সাহু।