
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নরেন্দ্রপুরে স্কুলের ঘটনায় হাইকোর্টের ভৎসনার মুখে পুলিশ। কোর্টের নির্দেশ সত্বেও কাল রাতের মধ্যে কাউকে কেন গ্রেফতার করা হল না পুলিশকে প্রশ্ন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। পুলিশকে ভৎসনা করে বিচারপতি বলেন, এতোদিন চোখে কাপড় বেঁধেছিলেন? দুপুর ২টোর মধ্যে বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি। শুনানি চলাকালীন তাঁকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকার নির্দেশ আদালতের। পঞ্চায়েত সদস্য এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। গতকাল ৩-৪ জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। কাউকে পাওয়া যায়নি। কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলে আদালতের কাছে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী। পঞ্চায়েত সদস্যকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি ! এটা কিভাবে সম্ভব সরকারি আইনজীবীর কাছে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। সুপারকে ব্যক্তিগত ভাবে দেখার নির্দেশ বিচারপতির। পুলিশের দুই সহ অধিকর্তা তপন কুমার সিনহা ও অনিন্দ্য কুমার চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি। স্কুলে যে ঘটনা ঘটেছে সেখানে চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের সহ অধিকর্তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির 120B ধারায় মামলা হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পুলিশের অধিকর্তাদের কাছে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন আপনারা কি পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন? বেলা ২টো থেকে শুরু হয়েছে মামলার পরবর্তী শুনানি।