
ওঙ্কার ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার জবাব দিতে কেবল পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে আঘাত করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ বা পাক সেনাঘাঁটিতে কোনও আঘাত হানা হয়নি বলে স্পষ্ট জানানো হল ভারতের তরফে। বুধবার সেনার তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানানো হয়।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহ ও কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রসঙ্গে সেনার তরফে জানানো হয়, কোনও সাধারণ নাগরিকের ক্ষতি করা হয়নি। নির্দিষ্ট ভাবে কিছু ভবনে আঘাত হানা হয়েছে। সেনাঘাঁটিতে কোনও হামলা করা হয়নি। প্রযুক্তির সাহায্যে ওই ভবনগুলি ভাঙা হয়েছে বলে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হামলা মুম্বই হামলার পরে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা। এদিন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী বলেন, মুম্বই হামলার পর পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলা সবচেয়ে বড় হামলা। পরিবারের সামনে পুরুষদের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গি সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। জইশ ই মহম্মদ, লশকর ই তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি এই ধরনের ছোট সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করে চলেছে। তার বিরুদ্ধেই ভারত জবাব দিয়েছে। এদিন মিস্রী দাবি করেন, সন্ত্রাসবাদের কাঠামোকে ধ্বংস করতেই ভারত এই প্রত্যাঘাত করেছে। তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিবৃতির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। ভারতের বিদেশসচিব বলেন, ‘গত ২৫ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের হামলার নিন্দা করে রাষ্ট্রসঙ্ঘ বলেছিল ন্যায়বিচার দরকার। ভারতের প্রত্যাঘাত তার ভিত্তিতেই।’