
ওঙ্কার ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের বহওয়ালপুরে প্রত্যাঘাত করে ভারতীয় সেনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। এই শহরে আঘাত হানার পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ।
লাহোর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে বহওয়ালপুর শহর। এটি পাকিস্তানের দ্বাদশ বৃহত্তম শহর। মূলত এই শহরে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি ছিল। ‘জামিয়া মসজিদ সুবহান আল্লাহ্’ ক্যাম্পাসে ছিল ওই জঙ্গি সংগঠনের সদর দফতর। এই দফতরে জইশ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হত বলে অভিযোগ। আর সে কারণেই নিখুঁত ছক কষে এই জঙ্গিডেরাকে নিশানা করেছে ভারতীয় সেনা।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে সরকারি ভাবে জইশ-ই-মহম্মদকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পাকিস্তান। কিন্তু খাতায় কলমে নিষিদ্ধ করলে কী হবে বহাল তবিয়তে নিজেদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছ জঙ্গি সংগঠনটি। পাকিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে ভারতে অশান্তি পাকানোর ছক কষে আসছিল জঙ্গি সংগঠনটি। এই জঙ্গিডেরার কাছেই রয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট। পাক সেনাবাহিনীর নাকের ডগায় থেকে সংগঠনটি নাশকতার ছক কষছিল বলে অভিযোগ। জইশ ই মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মাসুদ আজহার বহওয়ালপুরের ক্যাম্পাসেই থাকত। প্রসঙ্গত, এই মাসুদ ভারতের জেলে বন্দি ছিল। ১৯৯৪ সালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মূলত ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর কাঠমান্ডু থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান অপহরণের পর তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় ভারত। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ২০০০ সালে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠন গঠন করে মাসুদ।