
ওঙ্কার ডেস্ক : পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাস হামলায় প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। বিভিন্ন শহরে মোমবাতি মিছিল বেরিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স-এর কথা ফের জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি৮। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, “যারা হামলা চালিয়েছে আমরা শুধু তাদের কাছেই পৌঁছাব না, যারা পর্দার আড়ালে বসে ভারতের মাটিতে এই নৃশংসা ঘটনা ঘটানোর ষড়যন্ত্র করেছে আমরা পোঁছে যাব তাদের কাছেও।” পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা নিয়ে এরকমই কড়া পদক্ষেপের কথা জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দৃঢ় কণ্ঠে তিনি জানিয়ে দিলেন, “ভারতবাসীকে আমি এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে। আততায়ীরা শীঘ্রই খুব জোরাল ও স্পষ্ট জবাব পাবে।”
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় জড়িতরা ছাড় পাবে না বলে আগেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার দেশে ফিরে তিনি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বুধবার মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন মোদী।
মঙ্গলবার দুপুরে কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় চার থেকে পাঁচ জন জঙ্গি। প্রত্যেকের মুখ ঢাকা ছিল। হাতে ছিল একে ৪৭ বন্দুক। আচমকাই তারা পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এই হামলায় এখনও পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে নিহতদের মধ্যে তিন জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে চার জঙ্গিকে শনাক্ত করেছে ভারতের গোয়েন্দারা। চার জনের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে তাদের নাম আদিল, আসিফ ফুজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা।
প্রসঙ্গত জঙ্গি হামলার পর মঙ্গলবারই কাশ্মীরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলেন শাহ। পাশাপাশি জঙ্গিদের ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। এদিনই জঙ্গি হামলায় আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান অমিত শাহ। বড় ধরণের এই জঙ্গি হামলার পর ভারত সরকার এখন কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে দেশবাসী।