
ওঙ্কার ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানায় যেখানে প্রতিশোধের আগুন ফুঁসছে গোটা দেশ, তার মধ্যে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন অসমের এ আই ইউডিএফ বিধায়ক।
পহলগামে পর্যটক বাসে জঙ্গি হামলার তদন্তে উঠে এল নৃশংস গণহত্যার মূল চক্রান্তকারীর নাম। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২৬/১১-র মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড লস্কর-ই-তোইবার প্রধান হাফিজ সইদের নির্দেশেই কাশ্মীরে হামলা চালায় পাক জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, এই হামলায় তাদের পাশে ছিল স্থানীয় লস্কর মডিউলের প্রশিক্ষিত জঙ্গিরাও।
হামলার দায় স্বীকার করেছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স বা টিআরএফ। তবে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, টিআরএফ আদতে কোনও স্বাধীন সংগঠন নয়। বরং এটি লস্করেরই একটি ছায়া শাখা। বহু দিন ধরেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লস্করের শিবিরে এই সংগঠনের জঙ্গিরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। পাক সেনার সরাসরি প্রশিক্ষণে সামরিক বাহিনীর কমান্ডোদের মতোই গড়ে তোলা হচ্ছে এদের।
গত বছর অক্টোবরে বুটা পাঠরি এবং সোনমার্গে জঙ্গি হামলার সঙ্গেও যুক্ত ছিল এই সংগঠন। বুটা পাঠরিতে দুই সেনা জওয়ান-সহ চার জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। ওই একই মাসে সোনমার্গে একটি সুড়ঙ্গে ঢুকে ৬ জন নির্মাণ শ্রমিক ও এক জন চিকিৎসককে গুলি করে নৃশংসভাবে খুন করে তারা।
ঘটনার পর ডিসেম্বরে কুলগাঁওয়ে সংঘর্ষে নিকেশ হয় এই জঙ্গি শাখার ‘এ প্লাস ক্যাটেগরি’র সদস্য জুনেইদ আহমেদ ভাট। কিন্তু বাকিরা গুলি চালাতে চালাতে জঙ্গলে গা-ঢাকা দেয়।
এরপর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল এই লস্কর মডিউল। পার্বত্য জঙ্গলে গোপন ঘাঁটি গেড়ে অপেক্ষা করছিল নতুন নির্দেশের জন্য। গোয়েন্দা তথ্য বলছে, পাকিস্তানে তথাকথিত ভাবে কারারুদ্ধ হাফিজ সইদের রিমোট নিয়ন্ত্রণেই চলছে এই সংগঠনের অপারেশন। সেই নির্দেশ পৌঁছে দেয় হাফিজের ডানহাত লস্করের ডেপুটি সইফুল্লা।
শুধু আদর্শগত সমর্থন নয়, অস্ত্র, প্রশিক্ষণ, লোকবল — সবেতেই রয়েছে পাক সেনা এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের প্রত্যক্ষ মদত।
জঙ্গি হামলার জাল ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্ত পেরিয়ে। আর সেই চক্রান্তের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন হাফিজ সইদ — এমনটাই মনে করছে ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী।