
সায়ন মাইতি, কেশপুর: পঞ্চায়েতে ভোট গ্রহণের আগেই ফের জয় পেল শাসক দল। কেশপুরে ১৫-টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৩-টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ তৃণমূল কংগ্রেসের। আরও বাকি রয়েছে যে দুটি আসন সেখানেও বিপুলভাবে এগিয়ে শাসকদলই। বিরোধীদের বক্তব্য,গোষ্ঠী কোন্দল, মারামারি, রক্তারক্তির ঘটনায় সর্বদাই উত্তপ্ত থাকে কেশপুর। বিরোধীদের অভিযোগ,নির্বাচনে মনোনয়ন জমাই দিতে দেওয়া হয়নি কাউকে। কটাক্ষ,সেই কারণেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই জয় শাসক দলের। এই আবহেই সোমবার ফের শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে রক্ত ঝরল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরে। অভিযোগ ,ব্লক যুব সভাপতির অনুগামীদের সাথে ব্লক সভাপতির অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলেই এই ঘটনা।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে কেশপুরের শাকপুর এলাকায় চা দোকানে বসেছিলেন কেশপুর ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি আসিফ ইকবালের অনুগামীরা। অভিযোগ, সেই সময় তাদের লক্ষ্য করে কটুক্তি করে ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদ্যোৎ পাঁজা’র অনুগামীরা। এরপরই, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। ঘটনায় আহত হয়েছে দু’পক্ষের অন্তত ৭ জন। এদের মধ্যে ৩ জনকে সোমবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।দলীয় স্তরে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া। নির্বাচনের মাত্র ৫ দিন আগে, এই ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।