
নিজস্ব প্রতিনিধি, ওঙ্কার বাংলা: তাঁর নাম নিয়ে আগেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে সর্বস্মমতিক্রমে পানিহাটির নতুন পুরপ্রধান হলেন পানিহাটির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোমনাথ দে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১১টা নাগাদ নতুন পুরপ্রধানকে বেছে নিতে বৈঠকে বসেছিলেন পানিহাটির সকল কাউন্সিলর। তবে ছিলেন না সদ্যপ্রাক্তন পুরপ্রধান মলয় রায়।
শুক্রবার পুরপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর পানিহাটির অমরাবতী মাঠ নিয়ে মন্তব্য করেন সোমনাথ। তিনি বলেন, ‘অমরাবতী মাঠ পানিহাটির ফুসফুস। তাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।’ উল্লেখ্য এই অমরাবতী মাঠ বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে মলয় রায়ের বিরুদ্ধে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ে খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। পাশাপাশি, পুরসভার ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে চাঁদা তোলার অভিযোগ ওঠে মলয়ের বিরুদ্ধে।
গত সপ্তাহে মলয় রায়কে ফোন করেছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছাতেই তাঁকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। নানা টালবাহানার পর দলের নির্দেশে গত ১৩ মার্চ ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন মলয়। সোমবার গৃহীত হয় সেই পদত্যাগপত্র।
অন্যদিকে সোমনাথ দে নতুন পুরপ্রধান হওয়ার পর তিলোত্তমার পরিবারের তরফে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। তিলোত্তমা মামলায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের পুরস্কার স্বরূপ মলয়কে এই এই পদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবার।