
ওঙ্কার ডেস্ক: বেশ কয়েক দিন ধরেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা চলছিল। অবশেষে পদত্যাগে রাজি হলেন পানিহাটি পুরসভার পুরপ্রধান মলয় রায়। মঙ্গলবার রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তাঁকে ফোন করে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।
সূত্রের খবর, পানিহাটি পুরসভা এলাকার অমরাবতী মাঠ অবৈধ ভাবে বিক্রি করে দিয়েছেন মলয়, এমনটাই অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও অভিযোগ জমা পড়ে। এরপর প্রশাসনের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। নবান্ন সূত্রের খবর, অভিযোগ পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা বিষয়টির তদন্তের জন্য মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে নির্দেশ দেন। এরপর জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় খোঁজ খবর নেন মনোজ। জেলা স্তর থেকে যে রিপোর্ট পাঠানো হয়, তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেন মুখ্যসচিব। যার পর তাঁকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তৃণমূলের তরফে। প্রসঙ্গত দলের তরফে গত শুক্রবার পুরসভার চেয়ারম্যানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি প্রথমে সরে যেতে। যার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কোন শক্তিতে তিনি দলের নির্দেশ অমান্য করছেন? তাঁর পিছনে কি দলেরই কারুর মদত রয়েছে? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে।
অন্যদিকে, মলয় রায় পদত্যাগে রাজি হওয়ায় পরবর্তী পুরপ্রধান কে হবেন তা নিয়ে জোড়াফুল শিবিরের অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে চর্চা। সূত্রের খবর, পানিহাটির পুরপ্রধান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোমনাথ দে। যদি মলয় না পদত্যাগ করে তবে সেক্ষেত্রে দল কড়া পদক্ষেপের দিকে হাঁটতে পারে। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব তাঁর বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেয়, তা আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব।
ভিডিও দেখুন-