
নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনে হারের পর দলে ক্রমশ কোনঠাসা হয়ে পড়ে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। প্রত্যেক দিন নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের মত প্রকাশ করতেন দিলীপ ঘোষ। বঙ্গ বিজেপিতে কোনঠাসা হতে হতে হঠাৎ রাজ্য রাজনীতি থেকে কার্যত উবে গিয়ে ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। কাকতালীয় ভাবে চলতি মাসে বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সমহিমায় রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়েন দিলীপ ঘোষ। শুধু নেমে পড়া নয় ,স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে চালিয়ে ব্যাটিও করছেন তিনি। তার কথায় দিলীপ ঘোষের কাউকে দরকার পড়ে না, নিজের ক্ষমতায় রাজনীতি করি!
পোস্টার বিতর্কে সরগরম বিজেপির দক্ষিণ কলকাতার সাংগঠনিক জেলা। এরই মধ্যে নাম না করে দলের একাংশকেই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।তিনি বললেন, “দিলীপ ঘোষকে কে কোণঠাসা করবে ?” । দীর্ঘ বিরতির পর আবার ও ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচি নিয়ে জেলায় জেলায় যাচ্ছেন দিলীপ। মঙ্গলবার বর্ধমানের কাটোয়ায় ‘চায়ে পে চর্চা’ যোগ দেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। সূত্রের খবর, এখানে গোপীনাথের মেলা থেকে একটি ধারালো দা কেনেন দিলীপ ঘোষ। নতুন এই দা হাতে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শোনা যায় তার মুখে, তিনি বলেন, “এক দা-এ অনেক কাজ হয়ে যাবে!” এবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচি থেকে দিলীপ বললেন, “আমার কাউকে দরকার পড়ে না। আমি নিজের ক্ষমতায় রাজনীতি করি!”রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দিলীপ ঘোষ সরাসরি কোন নাম না বললেও, তিনি যে বর্তমান বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারদের বার্তা দিতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট।
উল্লখ্য, দোলের দিন ২৫টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নাম ঘোষণা করে বিজেপি। ১৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নির্বাচন এখনও বাকি। এদিকে নতুন রাজ্য সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে জোড় জল্পনা চলছে বিজেপির অন্দরে। এই পেক্ষাপটে হঠাৎ করে দিলীপ নিজের পুরোনো মেজাজে ফিরেছেন। দিলীপই পরবর্তী রাজ্য সভাপতি কিনা, তা নিয়েও দলের অভ্যন্তরে চর্চা শুরু হয়েছে। তারই মধ্যে দিলীপের এমন সব মন্তব্য, জল্পনাকে আরও জোরাল করছে। এদিকে ইফতার পার্টি নিয়েও ফের বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। দিলীপ বলেন, “কেউ কেউ কখনও চন্দন আবার কখনও টুপি পড়ে মেকি মুসলমান সেজে ইফতার পার্টিতে যোগদান করছে! এটা মুসলিমদের জন্য লজ্জা।”