
ওঙ্কার ডেস্ক: সিপিএমের সদ্য গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে নতুন সদস্য হিসেবে জায়গা পেলেন পশ্চিমবঙ্গের মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। মাদুরাইয়ে আয়োজিত পার্টি কংগ্রেসে প্রেসিডিয়ামের সদস্য হিসেবে তাঁর অন্তর্ভুক্তি থেকেই ইঙ্গিত মিলেছিল যে, এবার কেন্দ্রীয় স্তরেও উঠে আসছেন তিনি। শেষমেশ সেটাই সত্যি হলো।
মীনাক্ষীর সঙ্গে আরও চারজন বাংলার প্রতিনিধি এই কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁরা হলেন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কননীকা ঘোষ, হুগলির জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ, পূর্ব বর্ধমানের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন এবং দার্জিলিং জেলা সম্পাদক সমন পাঠক।
তবে বাদ পড়েছেন তিন প্রবীণ নেতা—সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব ও রেখা গোস্বামী। দলীয় সূত্রের খবর, বয়সজনিত কারণেই তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আগের কমিটিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ছিলেন ১৩ জন সদস্য। তিনজনের বিদায়ের পর নতুন পাঁচজনের অন্তর্ভুক্তিতে এবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫।
এদিকে, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন ঘোষণা হয়েছে রবিবার। সীতারাম ইয়েচুরির উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্বে এলেন কেরলের বর্ষীয়ান নেতা এম. এ. বেবি। পুরো নাম মারিয়াম আলেকজান্ডার বেবি। একসময় এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। ছিলেন কেরলের শিক্ষামন্ত্রীও। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন বেবি।
দক্ষিণমুখী সিপিএম নেতৃত্বের ধারা অব্যাহত থাকল এবারও। একের পর এক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কেরল বা অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। প্রকাশ কারাত এবং সীতারাম ইয়েচুরির পর এম. এ. বেবির নির্বাচন সেই ধারারই ধারাবাহিকতা। ফলে, এবারও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে ব্রাত্যই থেকে গেলেন মহম্মদ সেলিম। তবে সূত্রের খবর, দিল্লি যেতে আগ্রহ না থাকায় নিজেই এই দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
দলের অভ্যন্তরে নেতৃত্ব বদলের এই পর্যায়ে বাংলার প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।