
বিক্রমাদিত্য বিশ্বাস : সোস্যাল মিডিয়ায় পুলিশের বড় অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। বিয়ের তিন মাস যেতে না যেতেই আসল পরিচয় জানতে পারে তার স্ত্রী। তারপর থেকেই শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জে। মহিলার বাড়ির লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার গভীর রাতে বীরনগর এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। শারিরীক নির্যাতনের ফলে ওই মহিলা বর্তমানে রায়গঞ্জ গভ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়।
জানা গিয়েছে, মালদার বাসিন্দা হৃদয় দেব বসাকের সঙ্গে ৮ মাস আগে সামাজিক মাধ্যমে পরিচয় হয় রায়গঞ্জের টেনহরি গ্রামের বাসিন্দা শম্পা দাসের। পরিচয়ের দু’মাস পরেই রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন দু’জন। কখনও উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক, কখনও বা সাইবার ক্রাইম পুলিশ আধিকারিক বলে পরিচয় দেন ওই ব্যাক্তি। বিয়ের পর স্বামীকে কাজের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শুরু হয় অশান্তি। দিনের পর দিন বাড়তে থাকে অত্যাচারের মাত্রা। অগত্যা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বুধবার রাতে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গতকাল রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ব্যক্তিকে আটক করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। অন্যদিকে, ওই মহিলাকে ভর্তি করা হয়েছে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । এদিকে, হৃদয়কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে জেনে বেশ কয়েকজন থানায় হাজির হন। হৃদয়ের নামে বেশ কিছু অভিযোগ নিয়ে থানায় জড়ো হয় কয়েক ব্যাক্তি। তাদের অভিযোগ গ্রুপ ডি এর চাকরি দেবে বলে হৃদয় তাদের থেকে টাকা নিয়েছে আবার কারো অভিযোগ আবগারি লাইসেন্স করে দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছে হৃদয়। প্রত্যেকেই হৃদয়ের কঠোর শান্তি দাবী করেন।