
বিক্রমাদিত্য বিশ্বাস,রায়গঞ্জ: নগদ টাকা দিলেই পাওয়া যাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র।পেপার প্রতি আট হাজার টাকা পেমেন্ট করলে যে প্রশ্নপত্র ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে, তা একদম মিলে যাচ্ছে মূল পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে। একদিন বা দু’দিন আগে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে অনলাইন পেমেন্ট করলেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে চলে আসছে প্রশ্নপত্র।এমনটাই দাবি রায়গঞ্জ শহরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের একাংশের ।আর এই প্রশ্ন’ এর ফাঁদে পড়েছে রাজ্যের ছাত্রছাত্রী দের একাংশ। এই বিষয়ে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ রায়গঞ্জের বেশ কয়েকজন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এ রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রীর কথায়, বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে আমি ঐ ব্যক্তিকে টেলিগ্রামে মেসেজ করে প্রশ্ন চাই। তখন আমরা তাকে জিজ্ঞাসা করি যে এই প্রশ্নই আসবে তার কি প্রমাণ! তখন আমাদের ইংরেজির আসল প্রশ্নপত্রের প্রথম পাতার দশ সেকেন্ডের ভিডিও পাঠিয়ে ডিলিট করে দেওয়া হয়। তারপরেই আমরা থানার দ্বারস্থ হই।অন্যদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তর দিনাজপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক সুব্রত সাহা বলেন, “এই অভিযোগ একদম ভুয়ো। বাংলা পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি।ছাত্রছাত্রীদের আশঙ্কা, আগামী পরীক্ষাগুলোতেও ঠিক এই ঘটনা ঘটার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই থানার পরামর্শ মেনে ছাত্র ছাত্রীরা কর্নজোড়ায় সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানাতে যান। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।