
ওঙ্কার ডেস্ক:
‘দুষ্টু লোকের খপ্পরে পড়বেন না।’ কে এই ‘দুষ্টু লোক?’ সন্দেশখালির সভা থেকে মহিলাদের উদ্দেশে বিশেষ সতর্কবার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর তরজা। সোমবার সন্দেশখালির সভা থেকে নানা বিষয়ে এমনই চাঁচাছোলা কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে স্থানীয় নেতানেত্রীরা টাকা আত্মসাৎ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে বহুবার। সন্দেশখালির সভা থেকে এই ইস্যুতে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে কাউকে টাকা দিতে হবে না, সাফ জানালেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আপনার টাকা, আপনার অধিকার। আমাদের প্রকল্পের জন্য টাকা লাগে না। কাউকে টাকা দেবেন না। সন্দেশখালিতে অনেক টাকার অঙ্কে খেলা হয়েছে। মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। কিন্তু মিথ্যা বেশিদিন চলে না। সকলে মিলেমিশে থাকবেন। দুষ্টু লোকের খপ্পরে পড়বেন না। মহিলাদের বলছি কেউ ডাকলে চলে যাবেন না। ওই এলাকায় দাঁড়িয়ে সন্দেশখালির উন্নয়নেও একগুচ্ছ প্রকল্পের ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন জেলা, সন্দেশখালির হাসপাতালে অনেক নতুন বেড এছাড়াও আরও অনেক। তাঁর কথায়, ‘আমি চাই সন্দেশখালির ছেলেমেয়েরা এগিয়ে যাক।’
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই তৃণমূলে যোগ দেন সুজয় মণ্ডল ওরফে ‘সুজয় মাস্টার’। এই সুজয় মাস্টারই হলেন সন্দেশখালির বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর রাজনৈতিক গুরু। লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ শেখ শাহজাহানের নাম সামনে আসে। জমি দখল, মহিলাদের নির্যাতন-সহ তৎকালীন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ওঠে অনেক অভিযোগ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্দেশখালিতে জয়লাভ করবে ভেবেছিলেন বিরোধীরা। যদিও সাপে বর হয়নি বিরোধীদের। সন্দেশখালিতে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে তৃণমূল। বছর শেষে সেই সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়েই সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর তার ঠিক আগেই রেখাপাত্রের রাজনৈতিক গুরু সুজয় মণ্ডলের তৃণমূলের যোগদান কি তাহলে ইঙ্গিত করছে কোনও বড়সড় ভাঙনের?