
অপরূপা কাঞ্জিলাল: ইদানিং পথে ঘাটে বেরোলেই দেখা যাচ্ছে প্রায় বেশিরভাগ মহিলারাই সবুজ চুড়ি বা সবুজ শাড়িতে নিজেদের সাজাচ্ছেন। প্রথমটা কাকতালীয় মনে হলেও পরবর্তীতে জানা গেল কাকতালীয় নয় এর পিছনে রয়েছে বিরাট বড় কারণ।মহাকাল তথা মহাদেব শিবের জন্মমাস হিসেবে শ্রাবণ মাসকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে শ্রাবণ মাস অত্যন্ত শুভ হিসাবে মানা হয়। এই মাসে মহাদেবের আরাধনায় মেতে ওঠেন ভক্তরা। শ্রাবণের প্রতি সোমবার শিবের ব্রত পালন করেন তাঁরা। তবে চলতি বছরের শ্রাবণ মাসে সবুজ চুড়ি ও সবুজ রঙের পোশাক একেবারে ট্রেন্ডিং। জিজ্ঞাসা করলে জানা যাচ্ছে মহাদেব কে সন্তুষ্ট করতে তারা সবুজ হাতে গলাচ্ছেন। কিন্তু কেন?
শ্রাবণে সবুজ চুড়ি পরলে যেখানে সৌভাগ্যের উদয় হয় বলে বিশ্বাস করা হয়, সেখানে এটা আবার বিবাহিত হওয়ার লক্ষণও প্রকাশ করে বলে মনে করা হয়।প্রকৃতির সবুজ রঙ মন মুগ্ধ করে এবং সবুজ রঙ মনকে শান্ত এবং শীতল বোধ করায়।
সবুজ এই রঙটি সুখ, শান্তি এবং প্রাণশক্তিও দেয়। সবুজ রঙ ইতিবাচক শক্তি দেয়। হতাশা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। তবে এক্ষেত্রে শ্রাবণ মাসেই সবুজের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে রয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাস।পুরাণ মতে সৃষ্টিকে রক্ষা করতে সমুদ্র মন্থনে ওঠা কালকূট বিষ পান করেছিলেন দেবাদিদেব মহাদেব। সেই বিষের রং ছিল গাঢ় সবুজ। শ্রাবণ মাস পড়তেই দেবাদিদেবকে স্মরণ করে তাকে তুষ্ট করতে এবং তার আশীর্বাদ পেতেই সবুজ দ্রব্যের ব্যবহার বিশেষত বিবাহিত এবং বর্তমানে অবিবাহিত মহিলারা পড়ে থাকেন সবুজ চুড়ি। এক্ষেত্রে দেবাদিদেব মহাদেব তিনি কতটা সবুজের সমারোহ দেখে খুশি হন সেটা বলা না গেলেও রমণীরা যে সবুজে সাজিয়ে নিজেদের রমণীয় হয়ে ওঠেন এটা বলাই যায়।