
ওঙ্কার ডেস্ক: বছরের শেষ আর শুরুর মাঝে অতি সহজে মজার বার্তা দিল কলকাতা পুলিশ। অভিনব এই পোস্ট ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে বিশেষ আমন্ত্রণপত্র শুধুমাত্র অপরাধীদের জন্য ।প্রাথমিক ভাবে নিউ ইয়ার পার্টির আমন্ত্রণপত্র মনে হলেও এটি আসলে সতর্ক বার্তা।পোস্টে বলা হয়েছে, যদি সতর্কতা না মানা হয় তাহলে হতে হবে পুলিশের অতিথি, যা সচরাচর কেউ হতে চায় না। কী কী কাজ করলে মূলত হতে হবে অতিথি? বেপরোয়া গতিতে বা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, ট্রাফিক সিগন্যাল না মানা, হেলমেট ছাড়া বাইক চালানোর মতো নিয়ম ভাঙার কাজ করলেই গ্রেপ্তারি আসন্ন।যেতে হতে পারে লকআপে।
নতুন বছরের আগমনে আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। রাত গড়ালেই ২০২৫, আনন্দ, দুঃখের সংমিশ্রণে নতুন বছর শুরু করতে প্রস্তুত সকলেই। উৎসবের জোয়ারে গা ভাসিয়েছে আট থেকে আশি। তাছাড়াও, সোমবার থেকেই সাধারণ মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনীয় স্থানগুলোতে। ভিড় যত বাড়বে নিরাপত্তার প্রশ্ন আরও গাঢ় হবে। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্যে জোরকদমে তৈরি কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে লালবাজার। বর্ষবরণের রাতে অপরাধের পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরাপত্তার বেড়াজালে কলকাতা শহরকে মুড়ে ফেলার জন্যে থাকছে অতিরিক্ত সাড়ে চার হাজার পুলিশকর্মী। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে গোটা শহরে।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, বর্ষবরণের রাতে অতিরিক্ত সাড়ে চার হাজার পুলিশের পাশাপাশি ভিড় বেশি হয় এমন পর্যটন স্থানগুলোতে যেমন, ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, পার্ক স্ট্রিট ইত্যাদি স্থানে মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। পুলিশ সূত্রের খবর, বর্ষবরণের রাতে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে হয় দ্বিগুণ হয়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক পুলিশ। মা উড়ালপুল বাইক আরোহীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। বাধ্যবাধকতা থাকবে গতি নিয়ন্ত্রণেও। তাছাড়াও বাড়তি নজরদারি রাখা হবে মহিলাদের প্রতি অভব্য আচরণ যেন না করা হয়।
পার্ক স্ট্রিট ও ময়দানে নতুন বছরের প্রথম দিনে প্রায় মধ্যরাত জনসমাগম চালু থাকে। মহানগরীর নানা এলাকায় সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবে পুলিশ। পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকাকে চার থেকে ছয়টি জোনে ভাগ করে অপরাধদমন শাখা নজরদারি চালাবে। এছাড়াও থাকছেন যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকেরা। সেই দলে থাকছেন ২৩ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ১২ জন ডেপুটি কমিশনার, এবং ৭০ জন ইন্সস্পেক্টর। একাধারে ১১টি ‘ওয়াচ টাওয়ার’ থেকে পুলিশ গোটা এলাকার উপর নজরদারি চালাবে। এছাড়া কুইক রেসপন্স দলও থাকছে পার্ক স্ট্রিট চত্বরে।