
ওঙ্কার ডেস্ক : যোগ্যদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন এসএসসির চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। ১৯ দিন ধরে বিকাশ ভবনের সামনে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত রাজ্য সরকারকে ডেড লাইন বেঁধে দিয়েছিলেন চাকরিহারারা। তার আগেই হাইকোর্টের পরামর্শ মেনে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে ছাউনি তৈরির কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। শনিবার রাতেই বায়ো টয়লেটের বসানো হয় বিধাননগর পুরসভার তরফ থেকে।
উল্লেখ্য, চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা বা এফআইআরে নাম থাকা চাকরিহারাদের ওপর কোন কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এছাড়াও হাইকোর্ট থেকে জানানো হয়েছিল, বিকাশ ভবনের পরিবর্তে সেন্ট্রাল পার্কের সামনে যেন আন্দোলন চালায় চাকরিহারারা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অবস্থান বদলালেও আন্দোলন চলবে জানিয়ে দিয়েছিল শিক্ষক শিক্ষিকারা। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের মেনে এবার সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের সামনে ছাউনি তৈরির কাজ শুরু করে প্রশাসন।
শনিবার আন্দোলনের ১৮তম দিনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিলেন , সমস্ত সাংসদদের কাছে চিঠি পাঠানো হবে, যাতে চাকরি হারানো এই শিক্ষকদের ইস্যু লোকসভায় গুরুত্ব পায়। তাঁদের স্পষ্ট বার্তা, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যদি সোমবারের মধ্যে কোনও সদুত্তর না আসে, তবে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন। তারা জানিয়েছেন তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দলনে অনড় থাকবেন তারা। সোমবারের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে চান শিক্ষক শিক্ষিকারা। যদিও তাঁরা এও জানিয়ে দিয়েছিলেন সেন্ট্রাল পার্কে যতক্ষণ না পর্যন্ত হাইকোর্ট নির্দেশিত পরিকাঠামো পুরোপুরি তৈরি না হচ্ছে, ততদিন বিকাশ ভবনের সামনেই তাঁদের অবস্থান চালু থাকবে। অর্থাৎ হঠাৎ করেই তাঁরা স্থান পরিবর্তন করছেন না, বরং নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ না হলে পুরনো অবস্থানেই থাকবেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনের সামনে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির অভিযোগ ওঠে। আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। যদিও এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানান, “পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্য দেখিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হওয়ায় বাধ্য হয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।”
চাকরিহারাদের পক্ষ থেকে বার্তা স্পষ্ট—তাঁদের লড়াই ন্যায়সঙ্গত, তাই সহজে থামার নয়। জায়গা বদলালেও তাঁদের প্রতিবাদ এবং আন্দোলনের আগুন জ্বলবে ততদিন, যতদিন না তাঁরা সুবিচার পান। আপাতত, রাজ্য সরকারের প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য।