
সুমন্ত দাশগুপ্ত, নয়া দিল্লিঃ নতুন করে নিট নেওয়ার আবেদনে ‘না। যদি বিরাট মাত্রায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ মেলে তবেই পুনরায় পরীক্ষা। পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের।
ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা ওরফে নিট ইউজি’র প্রশ্নফাঁস বিতর্কে পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে ৪০টিরও বেশি আবেদন জমা পড়ে দেশের সর্বচ্চ আদালতে। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ।
শুনানির শুরুতেই এদিন প্রধান বিচারপতি মামলাকারীদের আইনজীবীর থেকে জানতে চান, সরকারি ও বেসরকারি কলেজ মিলিয়ে কতজন ডাক্তারিতে ভর্তি হতে পারেন।
মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, সংখ্যাটা ১ লক্ষ ৮ হাজার।
পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে যুক্তি দিয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী নরেন্দ্র হুডা বলেন, ‘যদি পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হয়, গত বার যে ২৩ লক্ষ পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁরা আবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।’
প্রধান বিচারপতি – পরীক্ষার্থীরা আবার পরীক্ষায় বসতে চাইছেন, শুধুমাত্র এই কারণে পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে না। পরীক্ষা ব্যবস্থায় সামগ্রিকভাবে প্রভাব পড়ার কোনও প্রমাণ মিললে, একমাত্র সে ক্ষেত্রেই তা হতে পারে।
প্রধান বিচারপতি – এমন কোনও প্রমাণ থাকতে হবে যা ইঙ্গিত করে, প্রশ্নফাঁসের জন্য পুরো পরীক্ষাই প্রভাবিত হয়েছে।
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, যারা টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস করছে তারা খুব বড় পরিসরে কাজ করে না। যদি বিরাট মাত্রায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ মেলে, তবে আগের পরীক্ষা বাতিল করে নতুনভাবে পরীক্ষা নিতে নির্দেশ দেবে শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, ১১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে নিট মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। তার আগে ১০ জুলাই গভীর রাতে সুপ্রিম কোর্টে নিট পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস নিয়ে একটি হলফনামা পেশ করে এনটিএ। সেই হলফনামায় এনটিএ দাবি করেছিল, নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ সত্যি নয়।