
বিপ্লব দাশ : মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা তাদের ২০২৫ সালের ‘বিশ্বব্যাপী হুমকি’ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে পাকিস্তানের গণবিধ্বংসী অস্ত্রের উল্লেখ করা হয়েছে, তার সঙ্গে রয়েছে চিনের লিঙ্ক। পাকিস্তানকে গৌণ হুমকি হিসেবে দেখার পাশাপাশি চীনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপর ভারতের মনোভাব তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেশগুলিতে চলমান সামরিক আধুনিকীকরণ, তাদের আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব এবং ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ভারতকে “অস্তিত্বগত হুমকি” হিসেবে দেখে। কিন্তু চিনকে ভারত মনে করে তার “প্রধান প্রতিপক্ষ”। প্রতিবেদনে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতিরক্ষা অগ্রাধিকার সম্ভবত বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদর্শন, চিনের মোকাবিলা এবং নয়াদিল্লির সামরিক শক্তি বৃদ্ধির উপর দৃষ্টি রেখে চলছে। এর জন্য ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারত প্রায় নিশ্চিতভাবেই এই বছর তার “মেড ইন ইন্ডিয়া” উদ্যোগের প্রচার চালিয়ে যাবে, যাতে তার অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তোলা যায়। একই সঙ্গে সরবরাহ পদ্ধতির উদ্বেগ কমানো যায় এবং সামরিক বাহিনী আধুনিকীকরণ করা যায়। ভারত ২০২৪ সালে তার সামরিক বাহিনীকে আধুনিকীকরণ অব্যাহত রেখেছে। পারমাণবিক-সক্ষম উন্নয়নমূলক অগ্নি-১ প্রাইম এমআরবিএম এবং অগ্নি-ভি মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রিএন্ট্রি ভেহিকেলের পরীক্ষা পরিচালনা করেছে। একই সঙ্গে তার পারমাণবিক ত্রয়ীকে শক্তিশালী করতে এবং প্রতিপক্ষকে প্রতিহত করার ক্ষমতা জোরদার করার জন্য তার দ্বিতীয় পারমাণবিক-চালিত সাবমেরিনও কমিশন করেছে।
প্রতিবেদটিতে উল্লেখ রয়েছে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়েও। তাতে বলা হয়েছে, ভারত ২০২৫ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক বজায় রাখবে কারণ তারা রাশিয়ার সঙ্গে “তার অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা লক্ষ্য অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে এবং রাশিয়া-চিন সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধির জন্য এই সম্পর্কের মূল্যকে একটি উপায় হিসেবে দেখে”। এই প্রসঙ্গে যুক্তি দেওয়া হয়েছে- মোদীর অধীনে ভারত রাশিয়ান-উত্পাদিত সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এখনও রাশিয়ান-উৎপাদিত ট্যাঙ্ক এবং যুদ্ধবিমানের বিশাল মজুদ বজায় রাখার জন্য রাশিয়ান খুচরা যন্ত্রাংশের উপর নির্ভর করে।