
উজ্জ্বল হোড়,জলপাইগুড়ি:
৪ ঠা অক্টোবর হওয়া উত্তর সিকিমের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা আজও তাজা সাধারণ মানুষের মনে ।তবে সেই ভয়ানক বিপর্যয় যে শুধুই মানব জাতির উপর নেমে এসেছিল তা কিন্তু নয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যপ্রাণ ও।বিপর্যয়ের পর প্রায় এক মাস ধরে মানুষের যাতায়াকারী সড়ক পুন নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু কেউই নজর রাখেনি জলপাইগুড়ি শহর থেকে সামান্য দুরে পাহাড় পুরের তিস্তার চরে আটকে থাকা ৭০-৮০ টি হাতির একটি পালের দিকে ।
বন বিভাগের পরিভাষায় এই অঞ্চলটি হাতি চলাচলের পথ বা করিডোর।
সেই সুবাদে প্রতি বছরের মতো এবারো অক্টোবর মাসে হাতির পাল খাদ্যের সন্ধানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাড়ি দিয়েছিল তিস্তা নদি পেরিয়ে ।
আচমকা তিস্তার চরে চলে আসে সুবিশাল জলরাশি সঙ্গে কাঠ, ঘরবাড়ি, সেনা বাহিনীর ব্যাবহারের বিস্ফোরক সহ একাধিক মৃতদেহ।
নিমেষে তিস্তার চরে চাষের জমিতে ধানের ক্ষেত চাপা পড়ে যায় পলী মাটির কাদায়।
সেই থেকেই তিস্তা নদীর চরে কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় অবস্থান করছে একটি বড় হাতির পাল।
হাতির পাল দেখতে দেখতেই স্থানিয় গ্রামবাসী ধীরেন দাস জানান, প্রায় ৬০-৭০ টি হাতি রয়েছে, ওদের কোন খাবার নেই সেই কারণে যে কোনো সময়ই তারা শহর মুখি হতে পারে।
এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির যৌথ পরিবেশ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী বলেন,
এত গুলো হাতি প্রায় এক মাস যাবত একটি নির্দিষ্ট এলাকায় অবস্থান করছে অথচ সেখানে নেই পর্যাপ্ত খাদ্য, স্বাভাবিক ভাবেই যে কোনো মুহূর্তে এই হাতির পাল খাদ্যের সন্ধানে শহর মুখী হতে পারে।
বর্তমানে আটকে পড়া ওই হাতি গুলিকে যেমন চিন্তায় রয়েছে বন বিভাগ তেমনি আতঙ্ক রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।