
নিজস্ব সংবাদদাতা , উত্তর চব্বিশ পরগনা : খড়দহ ও কামারহাটি থানার যৌথ উদ্যোগে গোপন অভিযান চালিয়ে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র সহ প্রচুর কার্তুজ, অভিযুক্ত দুস্কৃতি নেপালি । সকাল থেকে পলাতক ছিল নেপালি । পরে মঙ্গলবার বিকালে মৌলানা সেলিম রোড থেকে পলাতক নেপালি ওরফে নাইম আনসারীকে গ্রেপ্তার করা হয় । সমাজ মাধ্যমে কড়া ভাষায় রাজিব কুমার এবং তৃনমূল কে নিশানা শুভেন্দু অধিকারির।
পুলিশ জানিয়েছে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে ৪ টি দেশী পাইপ গান, ৪ রাউন্ড 8mm কার্তুজ, ৫ রাউন্ড .38mm গুলি, ৩ রাউন্ড 7.62 mm এবং ১ রাউন্ড .318 mm কার্তুজ উদ্ধার হয়।
পানিহাটি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাসকারী কুখ্যাত দুষ্কৃতি নয়িম আলি ওরফে নেপালির বাড়িতে দুই থানার আধিকারিকরা গোপনে অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে নেপালীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র সহ প্রচুর পরিমাণে কার্তুজ ও গুলি।
নেপালির প্রসঙ্গে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং বলেন , নেপালি এই অস্ত্র ব্যাবসার সঙ্গে বহুকালই যুক্ত , পুলিশ আগে কেন গ্রেফতার করেনি সেটাই প্রশ্ন ?
অভিযুক্ত দুষ্কৃতী নেপালি পানিহাটি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বনাথ দের ঘনিষ্ঠ বলে সুত্র মারফত খবর। নেপালির বাড়িতে কোথা থেকে এত অস্ত্রশস্ত্র ও গুলি এলো তবে ? এই নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এই বিষয়ে পাল্টা তপ দাগতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারি , সমাজ মাধ্যমে কড়া ভাষায় রাজিব কুমার এবং তৃনমূল কে নিসানা করেন তিনি।
সন্ধ্যায় উদ্ধার হওয়া অস্ত্র সম্পর্কে এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দ্র বদন ঝাঁ। তার দাবি গোপন সূত্রে প্রচুর অস্ত্র মজুত রাখার তথ্য পায় কামারহাটি থানা। তারপর কামারহাটি থানা ও খরদা থানা কে নিয়ে একটি যৌথ তল্লাশি টিম তৈরি করা হয়। মৌলানা সেলিম রোড নয়াবস্তি তে হানা দিয়ে একজন বাসিন্দার বাড়ি থেকে এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে ।উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে ৪ টি দেশী পাইপ গান, ৪ রাউন্ড 8mm কার্তুজ, ৫ রাউন্ড .38mm গুলি, ৩ রাউন্ড 7.62 mm এবং ১ রাউন্ড .318 mm কার্তুজ উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার বিকালে পলাতক বাড়ির মালিক নঈম আনসারী কে গ্রেপ্তার করে। তবে এই অস্ত্র কোথা থেকে আসলো আর কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তার তদন্তের জন্য ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে বেশি কিছুই বলতে চান নি পুলিশ কর্তা।