
নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রত্যাশামাফিক জেলাওয়াড়ি সাংগঠনিক রদবদল সেরে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২৬শের কথা মাথায় রেখে সংগঠনকে চাঙা করার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল মাস দুয়েক আগে। নেতাজী ইন্ডোরে দলের কর্মী সভায় তাঁর আঁচ মিলেছিল। শুক্রবার সেটাই করে দেখালেন সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশিত হল রাজ্যের জেলাওয়াড়ি পদাধিকারীদের চূড়ান্ত তালিকা।
সবচেয়ে বড় রদবদল দেখা গেল দুটি জেলা সংগঠনে। এক, কলকাতা উত্তর। এখানে এবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলা সভাপতি পদে রাখা হয়নি। শুধু তাই নয় উত্তর কলকাতা থেকে দলের সভাপতি পদটাই রাখা হল না। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যাওকে করা হয়েছে উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান। ঠিক এমনটাই দেখা গেল বীরভূমে। সেখানেও কোনো সভাপতি রাখা হয়নি। তৃণমূলের ‘দোর্দন্ডপ্রতাপ’ কেষ্টকে রাখা হয়নি সভাপতি পদে। উত্তর কলকাতার মতো এই জেলায়ও তুলে দেওয়া হয়েছে সভাপতি পদ।
এ ছাড়া নতুন তালিকায় নজরে পড়ার মতো আর তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। অ্যাক্টিভ ও ইন্যাক্টিভ-এর থিওরি মেনে কিছু কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। যেমন তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জিং জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় পীযূষ পণ্ডা ছিলেন জেলা সভাপতি। তা অপরিবর্তিত রাখা হল। কিন্তু বদলে দেওয়া হল তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতিকে। এই জেলায় সভাপতি পদে নতুন মুখ সুজিত কুমার রায়। আগে ছিলেন অসিত চট্টোপাধ্যায়।
জেলা সভাপতি বদল করা হল হাওড়াতেও। হাওড়া গ্রামীণে জেলা সভাপতি ছিলেন অরুণাভ সেন। এবারও তিনি বহাল রইলেন। তবে বদলে দেওয়া হল হাওড়া শহর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। কল্যাণ ঘোষের পরিবর্তে গৌতম চৌধুরীকে দেওয়া হয়েছে হাওড়া শহর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ। তবে হাওড়া সদরে চেয়ারম্যান পদে থাকছেন মন্ত্রী অরূপ রায়।
নিচে তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেওয়া হল।

