
ওঙ্কার ডেস্ক: ভলোদিমির জেলেনস্কির বাহিনী ড্রোন নিক্ষেপ করে ৪০ টি রুশ যুদ্ধবিমানে আঘাত হেনেছে। প্রায় দেড় বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়ে এই আঘাত হেনেছে ইউক্রেন। সাম্প্রতিক কালে রাশিয়ার উপর এটি বড়সড় আক্রমণ। আর এই হানার পর চর্চায় উঠে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে রুশ যুদ্ধবিমান বহরের অবস্থান ইউক্রেনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে নির্দিষ্ট ভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে জেলেনস্কি বাহিনী।
কিন্তু রুশ যুদ্ধবিমানের অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানলো কী ভাবে? এটি বুঝতে ফিরে যেতে হবে ২০১০ সালে। ওই বছর পরমাণু অস্ত্র সংবরণ সংক্রান্ত আমেরিকা-রাশিয়া ‘নিউ স্টার্ট চুক্তি’ সম্পন্ন হয়েছিল। যে চুক্তি অনুসারে দু’দেশকেই তাদের পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম যুদ্ধবিমানগুলিকে এমন ঘাঁটিতে রাখতে হবে যা নজরদারি উপগ্রহের সাহায্যে বা পরমাণু অস্ত্র শনাক্তকরণে ব্যবহৃত ‘ন্যাশনাল টেকনিক্যাল মিনস’ (এনটিএম)-এর মাধ্যমে দেখা যায়।
ওই চুক্তি অনুসারে রাশিয়ার টিইউ-৯৫এমএস, টিউ-২২এম৩-এর মতো পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধবিমানের অবস্থান জানতে পেরেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অভিযোগ, সেই তথ্য গোপনে পৌঁছে গিয়েছে ইউক্রেনে। আর প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে গত দেড় বছর ধরে ইউক্রেন প্রস্তুতি নিয়েছে আক্রমণ হানার জন্য।আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ‘নিউ স্টার্ট চুক্তি’র মেয়াদ রয়েছে। এমন ঘটনার পর ভ্লাদিমির পুতিন ওই চুক্তি টেনে নিয়ে যাবেন কি না সেটিই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।