
নিজস্ব প্রতিনিধি,ভাঙড়ঃ মঙ্গলবার রাত থেকে ফের উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়। ভোটের গণনায় কারচুপির অভিযোগে কাঁঠালিয়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ। ঘটনায় মৃত তিন। এক পদস্থ পুলিশ কর্তা সহ আহত একাধিক। সূত্রের খবর, মৃতদের মধ্যে দু’জন আইএসএফ কর্মী। অন্য এক মৃত কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য তা জানা যায়নি। বুধবার সকাল থেকেই এলাকায় চলছে পুলিশি টহল। শুরু হয়েছে ধরপাকড়। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। ভাঙড় জুড়ে জারি ১৪৪ ধারা।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভাঙড়-২ ব্লকের কাঁঠালিয়ার গণনা চলাকালীন, আইএসএফ নেত্রী রেশমা খাতুন অভিযোগ করেন, আইএসএফ জেলা পরিষদের প্রার্থী জাহানারা খাতুন প্রথমে পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বিডিও জানান, আইএসএফ প্রার্থী ৩৬০ ভোটে হেরে গিয়েছেন। রেশমা খাতুনের দাবি, প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে গণনায় কারচুপি করেছে তৃণমূল। তাঁরা পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন। মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় শুরু হয় উত্তেজনা। পুলিশের অভিযোগ, কিছু লোক তাদের উপর আক্রমণ শুরু করে। এলাকায় একের পর এক বিস্ফোরণ হয়। বোমা এবং গুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ছোঁড়ে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। তৃণমূলের দাবি আক্রমণকারীরা আইএসএফ কর্মী-সমর্থক।
আইএসএফের পাল্টা অভিযোগ, গন্ডোগোল পাকিয়েছে তৃণমূল। শাসক দলের লোকেরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। আরও অভিযোগ পুলিশ গুলি চালিয়েছে। পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েক জন আইএসএফ কর্মী আহত হয়েছেন। মৃতরা হলেন বছর ছাব্বিশের হাসান আলি এবং বছর ৩৫’র রাজু মোল্লা ।
ঘটনায় পুলিশের এক পদস্থ কর্তার হাতে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। আরও এক পুলিশকর্মীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর। বুধবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুজনেরই অস্ত্রোপচার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে যান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সিদ্ধনাথ গুপ্ত-সহ পুলিশের পদস্থ কর্তারা। শুরু হয়েছে ধরপাকড়। নতুন করে অশান্তির খবর নেই। বুধবার বিকেলেও গোটা এলাকার পরিবেশ থমথমে। ভাঙড় জুড়ে জারি ১৪৪ ধারা। এলাকার রাস্তাঘাটে লোকজন নেই। চলছে পুলিশ আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল।