
ওয়েব ডেস্ক : ২০২৫ সালে ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের ১৫০তম বছর পূর্তিতে সমারোহে সারা বছর ধরেই পালিত হবে নানান অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের ১৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে দাবি করেছেন, আবহাওয়া গবেষণায় ভারত এখন আন্তর্জাতিক স্তরে মর্যাদার আসন লাভ করেছে। আগামীদিনে এক্ষেত্রে ভারত আরও উন্নতি করবে, যা দৃষ্টান্তমূলক হতে চলেছে।
এদিন নয়াদিল্লিতে ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী অনেক আশার কথাই শুনিয়েছেন। ফিরিস্তি দিয়েছেন আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণায় এবং ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের হাতে কী কী ধরনের প্রযুক্তি আছে সেসম্পর্কে। এদিন মোদী বলেছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিঁখুত পূর্বাভাসের ফলে আগামীদিনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভারতের মাটিতে মৃতের সংখ্যার পাশাপাশি আর্থিক ক্ষয়ক্ষতিও কমবে।
১৮৭৫ সালে ব্রিটিশ আমলে ভারতে আবহাওয়া দফতর স্থাপিত হয়। সদর দফতর ছিল কলকাতায়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের সদর দফতর দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবহাওয়া দফতরের ১৫০ তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে একটি কফি টেবিল বইয়ের উদ্বোধন করেন। ওই বইতে ধরা রয়েছে অবিভক্ত ভারত, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ২০২৫ পর্যন্ত ভারতের আবহাওয়া দফতরের পথচলার অতীত এবং সাম্প্রতিক ইতিহাস।
পাশাপাশি, এদিন ২০৪৭ সালের ভিতর ভারতীয় আবহাওয়া দফতরকে কোন পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, সেবিষয়ক নথিপ্রকাশ করেছেন মোদী। তিনি দাবি করেছেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম জুড়ে বিজ্ঞানীদের অবদানে ভারত আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণায় উল্লেখযোগ্য শক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছে ।
স্বাধীন ভারতের আবহাওয়া দফতর প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক হওয়ার জেরে উপকৃত হচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলোও। নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এদিনের অনুষ্ঠানে মোদীর সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক সেলেসটি সাউলো। তিনি বলেন, গত ৭২ বছর ধরে ভারত বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণা বা প্রযুক্তি উন্নত করতে আর্থিক বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি কাজ। এব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের কাছে আর্জি জানাচ্ছি।