
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা : স্বাস্থ্যের পর ফের বিদ্যুৎ উৎপাদনে কেন্দ্রের তালিকায় শীর্ষে স্থানের স্বীকৃতি পেল পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক প্রকাশিত সাম্প্রতিক র্যা ঙ্কিং-এ দেশের সেরা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির তালিকায় একাধিক স্থান দখল করেছে রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি। শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিক থেকেও দেশের নামী বেসরকারি ও সরকারি সংস্থাগুলিকে টপকে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স-হ্যান্ডেলে এই অভূতপূর্ব সাফল্যের কথা দেশবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নেন।
বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অন্তর্গত কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য দেশের ২০১টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বার্ষিক কার্যক্ষমতা অনুযায়ী র্যারঙ্কিং প্রকাশ করেছে। সেই তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। দেশের মধ্যে সবচেয়ে দক্ষ ও কর্মক্ষম কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এটি। শুধু সাঁওতালডিহিই নয়—বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র দ্বিতীয় স্থান, সাগরদিঘি চতুর্থ এবং ব্যান্ডেল নবম স্থান দখল করেছে। অর্থাৎ দেশের সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছে বাংলার চার-চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। একথা নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে যে, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার প্রযুক্তি ও দক্ষতার মেলবন্ধনে সারা দেশের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এই সাফল্যে পরিপূর্ণতা এসেছে স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও। মার্চ মাসে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ কর্তৃক প্রকাশিত এক তালিকায় দেখা গেছে, পূর্ব ভারতের মধ্যে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণার জন্য সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম স্থান দখল করেছে ঐতিহ্যবাহী কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল। সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় যেখানে একাধিক রাজ্যে প্রশ্ন উঠছে, সেখানে বাংলা আবারও প্রমাণ করেছে—সঠিক পরিকল্পনা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার মাধ্যমে কীভাবে স্বাস্থ্য খাতে যুগান্তকারী উন্নয়ন সম্ভব।
মুখ্যমন্ত্রী এই গৌরবজনক অর্জনে রাজ্যের বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য দফতরের সমস্ত কর্মী ও আধিকারিকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এই সাফল্য গোটা বাংলার। আমাদের সরকার সব সময় চেয়েছে মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে, আজকের এই স্বীকৃতি সেই পথ চলারই প্রমাণ।”
তথ্যপ্রযুক্তি, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রেই ধারাবাহিক উন্নয়ন ও সাফল্যের যে রূপরেখা রাজ্য সরকার কৌশলগতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এই সম্মান তারই স্বীকৃতি। বাংলার এই সাফল্য শুধু রাজ্যের গর্ব নয়, গোটা দেশের কাছেই এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।