
নিজস্ব সংবাদদাতা : বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাক্য বাণ সামাল দিতে কার্যত হিমসিম খাচ্ছেন বঙ্গ বিজেপি ব্রিগেড। অনেক দিলীপ ঘনিষ্ট বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনের ‘ঋণ’ কড়ায়-গন্ডায় চুকিয়ে দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। গত বছর লোকসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষের জেতা লোকসভা কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করেনি দল। পাঠানো হয়েছিল অন্য আসনে। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে পরাজিত হন দাবাং দিলীপ। বঙ্গ বিজেপির অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়। দিলীপের আসন বদলের পিছনে কলকাঠি নেরেছিলেন মেঘদূত শুভেন্দু। যদিও প্রকাশ্যে সে কথা কেউ মানতে চায় না। কিন্তু তার পর থেকেই দিলীপের নিশানায় ছিলেন শুভেন্দু। অনেকে বলছেন, যে ‘বৃত্ত’ সম্পূর্ণ হল বুধবার সস্ত্রীক দিলীপের দিঘায় মমতা সাক্ষাতে। দিলীপ ঘোষের বাক্য বোমায় ও তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। নাম না করে তিনি আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। তার দাবি, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁচলের ছায়ায় যাঁরা বড় হয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে দিলীপ ঘোষ বিজেপি শিখবে না!
উল্লখ্য, ২০১৬ সালে প্রথমবার নির্বাচন লড়ে বিধায়ক হন দিলীপ ঘোষ। ২০১৯ সালে প্রথম বার লোকসভা নির্বাচন লড়ে সাংসদ। দিলীপ ঘোষ মজা করেই বলতেন, “হারের রেকর্ড নেই। এখনও পর্যন্ত আমার রেজাল্ট ২-০।” কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে। দিলীপ ঘনিষ্ঠেরা তার জন্য শুভেন্দুকেই ‘দায়ী’ করেন।
তার পর থেকে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে যায়। শুভেন্দুর সঙ্গে দিলীপের সম্পর্কের উন্নতি হয়। সম্প্রতি বিধানসভায় এক ফ্রেমে দেখা মিলেছিল শুভেন্দু দিলীপের। কিন্তু তাল কাটে দিলীপের বিবাহে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দলের প্রথম সারির নেতা-নেত্রীদের নিয়ে দিলীপের বাড়িতে হাজির হন। কিন্তু শুভেন্দু ব্যক্তিগত ভাবে দিলীপকে শুভেচ্ছা জানাননি। প্রশ্নের জবাবে দায়সারা ভাবে বলেছিলেন, ‘‘দল তো শুভেচ্ছা জানিয়েছে।’