
স্পোর্টস ডেস্ক :বিটিএ-সিএসজেসি ফুটবল স্কুলের পথচলা শুরু
বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবসে সারা দিনে নানা অনুষ্ঠানে মাতল কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাব (CSJC)।
ক্রীড়া সাংবাদিকদের রক্তচাপ, ব্লাড সুগার, ইসিজি, রক্তের আরও নানা পরীক্ষা হল মঙ্গলবার, কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক (CSJC) ক্লাবের তাঁবুতে। এই স্বাস্থ্য শিবির ঘিরে উৎসাহ ছিল দেখার মতো। চার্ণক হসপিটালের সহযোগিতায় ক্রীড়া সাংবাদিকদের যাবতীয় পরীক্ষা এবং ব্যয়ভারও বহন করেছে এই হসপিটাল।
সকাল দশটা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত ময়দানে কাজ করা ক্রীড়া সাংবাদিকরা নিজেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। শুধু তাঁরাই নন, তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও এই ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। সংখ্যাটা প্রায় ৭০।
এ দিন বিকেলে সিএসজেসির উদ্যোগে পথচলা শুরু করল ‘বেনিয়্যান ট্রি অটোমোবাইল-সিএসজেসি ফুটবল কোচিং স্কুল (অনুর্ধ্ব-১৩)।’ মূলত প্রান্তিক পরিবার থেকে উঠে আসা মেয়েদের ফুটবল মাঠে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। দেশে এই প্রথম কোনও ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাব এই ধরণের উদ্যোগ নিল। এই কোচিং স্কুলের উদ্বোধন করেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও ব্যানিয়ন ট্রি গ্রুপের কর্ণধার প্রবীর রায়চৌধুরি। প্রাথমিক ভাবে ২৫ জন ফুটবলারকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এদের যাবতীয় খরচ এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাব। এই ফুটবল স্কুলের চিফ কোচ অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত প্রাক্তন মহিলা ফুটবলার শান্তি মল্লিক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস। ছিলেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত, মহামেডান সচিব ইস্তিয়াক আহমেদ সহ আরও অনেকে।
মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘ভাল কাজের সঙ্গে সব সময়ে ছিলাম আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের এই প্রচেষ্টায় আমি অত্যন্ত খুশি। পাশে আছি সব সময়।’ আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবকে স্যালুট জানিয়েছেন। সাধ্যের বাইরে গিয়ে ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের এই ফুটবল স্কুল এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে তাঁর বিশ্বাস। সিএসজেসি প্রেসিডেন্ট সুভেন রাহার কথায়, ‘সাংবাদিকদের কাজ শুধু খবর লেখা নয়। সামাজিক দায়িত্বও রয়েছে। সেই দায়িত্ব থেকেই এই ফুটবল কোচিং স্কুলের স্বপ্ন দেখা শুরু।’