
ওঙ্কার ডেস্ক: গেছো-ছুঁচোর ট্যাক্সোনমিক রহস্য উন্মোচন করলেন জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরা। শতাব্দী-প্রাচীন জাদুঘরের নমুনা ব্যবহার করে এই কাজ করেছেন তাঁরা।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক জার্নাল ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশনে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে, কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের অধীনে থাকা জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার গবেষকরা দক্ষিণ এশীয় গেছো-ছুঁচোদের মধ্যে জটিল ট্যাক্সোনমিক সম্পর্ক প্রকাশ করেছেন। মূলত কাঠবেড়ালির সঙ্গে এই প্রাণীগুলির দেহের সাদৃশ্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ভুল বোঝাবুঝি ছিল। কিন্তু এই রহস্য উন্মোচনের ফলে তা কেটে গেলে।
গেছো-ছুঁচো নামের এই প্রাণীটি প্রকৃতপক্ষে না ছুঁচো না কাঠবেড়ালি। এটি স্ক্যান্ডেন্টিয়া নামক একটি স্বতন্ত্র গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। যদিও এই প্রাণীর জীবন ধারণের পদ্ধতিতে কাঠবেড়ালির সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে। কাঠবেড়ালির মত দেহের আকার একই এবং গাছের উপরে জীবন কাটায়। গেছো ছুঁচোর লম্বা নাক, ছোট গোঁফ এবং যে ধরণের খাবার খায় তার ভিত্তিতে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। আগে ভুলবশত প্রাইমেট হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হলেও, বর্তমানে এগুলি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্থানীয় স্তন্যপায়ী প্রাণীদের একটি প্রাচীন বংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন গবেষকরা।
জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার স্তন্যপায়ী ও অস্টিওলজি বিভাগের (Mammal and Osteology Section) প্রধান লেখক এবং বিজ্ঞানী ডক্টর মনোকরণ কমলাকান্নান তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে চূড়ান্ত বিশ্লেষণ পর্যন্ত গবেষণার সামগ্রিক কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কয়েক দশকের পুরনো জাদুঘরের নমুনাগুলি পরীক্ষা করে আমরা দেখিয়েছি কীভাবে এই আকর্ষণীয় স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলি একে অপরের থেকে আলাদা।’ এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, ‘এই স্পষ্টতা কেবল সঠিক প্রজাতি শণাক্তকরণের জন্যই নয় বরং কার্যকর সংরক্ষণ নীতি গঠনের জন্যও অপরিহার্য।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘আধুনিক কৌশল ব্যবহার করে জাদুঘরের নমুনাগুলি বিশ্লেষণ করলে পূর্বে অপ্রকাশিত থাকা বৈচিত্র প্রকাশ পাবে। যা আমাদের দীর্ঘস্থায়ী ট্যাক্সোনমিক অস্পষ্টতা মোকাবিলায় সাহায্য করবে।’
o