
ওঙ্কার ডেস্ক: বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি’ বা বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখল সেদেশের হাইকোর্ট। পাশাপাশি পাঁচ অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ বহাল রেখেছে আদালত।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জেরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট-এর ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় বাংলাদেশের ছাত্র লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়। সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ জন ছাত্রকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বাংলাদেশের আদালত। একইসঙ্গে পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। নিম্ন আদালতের সেই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল দোষীরা। রবিবার সেই রায়ই বহাল রাখলেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ।
যাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে তারা হল- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার ওরফে অপু, মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, খন্দকার তাবাকারুল ইসলাম ওরফে তানভির, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, মো. সাদাত এ এস এম নাজমুস সাদাত, মুনতাসির আল জেমী, মো. মিজানুর রহমান মিজান, এস এম মাহমুদ সেতু, সামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মোর্শেদ ওরফে মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, এহতেশামুল রাব্বি অরফে তানিম, মোহাম্মদ মোর্শেদ উজ্জামান মণ্ডল প্রকাশ জিসান, মুজতবা রাফিদ।
পাশাপাশি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হল- অমিত সাহা, ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, মো. আকাশ হোসেন, মুহতাসিম ফুয়াদ ও মো. মোয়াজ ওরফে মোয়াজ আবু হোরায়রা। রবিবার আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ আদালতের রায় নিয়ে বলেন, ‘নিম্ন আদালতের রায় বহাল রয়েছে। এ রায়টা যেন অতিদ্রুত কার্যকর হয়। আমরা আপাতত সন্তুষ্ট। এ রায় দ্রুত কার্যকরের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।’