
নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ দিয়েছেন ‘বেআইনি দখলদার’ উচ্ছেদ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো ‘বেআইনি দখলদার’ উচ্ছেদ করতে গিয়ে মমতা মন্ত্রী সভার সদস্য অখিল গিরির বাধার মুখে পড়লেন বন দফতরের এক মহিলা আধিকারিক। এমন কি মহিলা আধিকারিককে ‘দেখে নেওয়ার’হুমকি দিতে শোনা গেল রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিলকে।
জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুর সমুদ্রসৈকত এলাকায় বন দফতরের জায়গা থেকে হকারদের উচ্ছেদ করা হয়। শনিবার হকারদের সমর্থনে ওই এলাকায় যান অখিল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কাঁথি বন আধিকারিক মনীষা সাউ, সহ বন কাঁথি রেঞ্জের কর্মীরা। সেখানেই বন দফতরের মহিলা আধিকারিকের উদ্দেশে মমতা মন্ত্রী সভার সদস্য অখিল গিরি বলেন, “আপনি কত বড় অফিসার, আমি দেখে নেব।”
বন আধিকারিক বলেন – “স্যর, আমি ডিউটি করছি বলে আমাকে তুলে দেবেন বলছেন?”
অখিল – “আপনাকে নয়, আপনি যেখানে ডিউটি করছেন সেখান থেকে।’’
বন আধিকারিক মনীষা সাউ – ‘‘স্যর নাইট ডিউটি করছেন আমার স্টাফেরা।’’
অখিল – “আপনাকে কে নাইট ডিউটি করতে বলেছে? আপনি রাত্রি বেলা কেন দোকানগুলো কাটলেন, আমি জানতে চাই।”
বন আধিকারিক মনীষা সাউ – ‘‘আমরা রাতের বেলা কিছু কাটিনি।’’
অখিল- ‘‘আপনার আয়ু ৭-৮ দিন, ১০ দিন!’’
অখিল- ‘‘২৫ ফুট আমরা নিলাম। এর ভিতরে যদি আপনি আসেন আপনি ফিরে যেতে পারবেন না। বেশি কথা বলবেন না আপনি একদম।” শালীনতার সীমা অতিক্রম করে এও বলেন, “আপনি সরকারের চাকর। মাথা নিচু করে কথা বলবেন। আপনি একদম বেয়াদবি করবেন না। আপনাকে যখন সবাই ডাঙ দিয়ে পেটাবে, তখন দেখবেন!”
অখিলের আচরণের সমালোচনা করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘মন্ত্রী অখিল গিরির কথা এবং আচরণের বিরোধিতা করছি। এটা অবাঞ্ছিত। বন দফতর নিয়ে কিছু বলার থাকলে মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা কে বলতে পারতেন। তার বদলে মহিলা অফিসারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার দুর্ভাগ্যজনক”। অখিল গিরির কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। বললেন, “খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা! কর্মরত অফিসারকে এভাবে বলে ঠিক করেননি। মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব।”