
স্পোর্টস ডেস্ক :আসন্ন মরসুমে স্ট্রাইকার থেকে মিডফিল্ড সব জায়গায় শক্তি বাড়াচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এবার তারা শক্তি বাড়িয়ে নিল ডিফেন্স বিভাগেও। দলে ভারতীয় দলের ডিফেন্সে অবিচ্ছেদ্য অংশ আনোয়ার আলিকে । সম্প্রতি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন তিনি। পাশাপাশি অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ভারতীয় দলের জার্সিতে অনূর্ধ্ব ২০ আর্জেন্টিনা দলের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক গোল রয়েছে তাঁর। মোহনবাগানে যোগ দিতে পেরে খুশি আনোয়ার। তিনি বলেছেন, “কলকাতায় খেলার স্বপ্ন থাকে সব ফুটবলাররেই। ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম কলকাতায় খেলার। আর মোহনবাগান তো ফুটবল মাঠে দেশের সবথেকে প্রাচীন ক্লাব। কত কিংবদন্তী ফুটবলার খেলে গিয়েছেন এই দলে। কত ঐতিহ্য এবং গৌরব রয়েছে এই ক্লাবের। সেই সবুজ মেরুন জার্সিতে মাঠে নামব ভাবলেই রোমাঞ্চিত হচ্ছি। অসংখ্য মোহনবাগান সমর্থকের মেসেজ এসেছে আমার মোবাইলে। আমার জন্য তাদের আগ্রহ দেখে আমি আপ্লুত। হাজার হাজার সমর্থকের সমর্থন পাব, সবাই আমাকে ভাল খেলার জন্য আরও সাপোর্ট করবেন এটা বিশাল অনুপ্রেরণা আমার কাছে। ওরাই তো যে কোনও ক্লাবের আসল শক্তি। কারণ আমার বয়স কম। সবে সাফল্য পেতে শুরু করেছি। অনেক কিছু শেখার আছে এখনও। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবার যা দল গড়ছে তাতে সতীর্থদের কাছে শেখার অনেক কিছু আছে। সেরা টিমে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াটা আমার কাছে চ্যালেঞ্জ। আমাকে আপনারা সমর্থন করুন, আমি সেরাটা দিয়ে আপনাদের আশা পূরণ করব।”
আনোয়ার আরও বলেন, “আমি মোহনাগান সুপার জায়ান্টে খেলতে এসেছি তিনটি লক্ষ্য নিয়ে। এক) জীবনে প্রথন কলকাতা ডার্বি খেলব। যা আমার বহুদিনের স্বপ্ন ছিল। ডার্বি জিতে মোহনবাগান সমর্থকদের আবেগ ও উচ্ছ্বাসকে সম্মান জানাতে চাই। দুই) আমি জাতীয় দলের জার্সিতে কাপ জিতলেও কখনও আইএসএল জিতিনি। আইএসএল ট্রফিটা ছোঁয়ার জন্যই এখানে আসা। কারণ ক্লাব যা দল গড়েছে তাতে আমার আইএসএল ট্রফি ছোঁয়াটা সম্ভব বলে মনে করি। তিন) মোহনবাগান দেশার সেরা ক্লাব। শুধু ভারত সেরা হওয়া নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্লাবকে প্রতিষ্ঠা করতে পারে এই সবুজ-মেরুণ জার্সিই। জাতীয় দলের হয়ে অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতেছি। এবার ক্লাবের জার্সিতে জিততে হবে। এএফসি কাপে সেটাই চেষ্টা করব।”যদিও কলকাতা লিগে জুনিয়র দলে নয় তিনি খেলবেন সিনিয়র দলের সঙ্গেই।